শীতের সময়ে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে নীরবে। অন্যান্য ঋতুর মতো ঘন ঘন জল পিপাসা পায় না বলে জল পান করতে ভুলে যান অনেকেই। ফলে কখন যে শরীরে জলাভাব শুরু হয়েছে, অনেকেই টের পান না। শীতকালে এই রোগের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। আর ডিহাইড্রেশনকে বেশি দিন গুরুত্ব না দিলে এক সময়ে প্রাণহানির ঝুঁকিও তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই জল খাওয়ার বিষয়ে এই ঋতুতে বিশেষ ভাবে সচেতন হওয়া জরুরি।
শীতকালে তৃষ্ণা না পেলেও নিয়ম মেনে জল খেতে হবে। নয়তো স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক এবং চুলেও শুষ্কতা বৃদ্ধি পেতে পারে। পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার কার্যকরী উপায় বাতলে দিয়েছেন। রইল সেই ৫ কৌশল।
শীতের সময়ে জলশূন্যতার সমস্যায় ভুগছেন না তো? ছবি: সংগৃহীত।
১. ৫০০ মিলিলিটারের একটি বোতল সঙ্গে রাখতে হবে। বাড়িতে থাকুন অথবা কাজে বেরোন, একই নিয়ম পালন করতে হবে। সকাল থেকে প্রাতরাশ পর্যন্ত সময়ে বোতলের জল শেষ করে ফেলতে হবে। তার পর আবার জল ভরে নিন। প্রাতরাশ থেকে মধ্যাহ্নভোজন পর্যন্ত ফের ৫০০ মিলিলিটার জল পান করতে হবে। এ ভাবেই মধ্যাহ্নভোজন থেকে বিকেলের চা খাওয়া, আবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার স্ন্যাক্স, সেখান থেকে নৈশভোজ পর্যন্ত ৫০০ মিলিলিটার করে জলপান করতে হবে। তার পর ঘুমোনোর আগে পর্যন্ত জল পান করতে থাকুন। দেখবেন, এই হিসেব মানলে সারা দিনে ২-৩ লিটার জল অজান্তেই খেয়ে ফেলেছেন।
২. শীতের সময়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলও বেশ ঠান্ডা মনে হতে পারে। তাই জলকে হালকা গরম করে পান করতে থাকুন। তাতে জল পান করার অনীহা কেটে যাবে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ, এর মধ্যে অল্প একটু পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিলে স্বাস্থ্যের জন্য তা খুবই উপকারী।
৩. ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে পান করার পরামর্শ রেশমীর। তবে সকাল থেকে বেলা ১২টার মধ্যে সে জল শেষ করা উচিত বলে দাবি পুষ্টিবিদের। সাধারণ জলের চেয়ে এই ধরনের পানীয়ে হাইড্রেশনের ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে।
৪. হাইড্রেশন বাড়ানোর জন্য মরসুমি ফলের জুড়ি নেই। দিনে অন্তত ১০০ গ্রাম এমন ফল খাওয়া উচিত, যে গুলিতে জলের পরিমাণ বেশি, ঠিক যেমন কমলালেবু।
৫. গরম হেল্থ ড্রিঙ্কের বদলে স্যুপ খেতে বলছেন পুষ্টিবিদ। এতে স্বাস্থ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগানও থাকবে, জলের ঘাটতিও মিটবে।