পায়ের ব্য়থার কাতর ত্রিশ থেকে ষাট। হাঁটুর যন্ত্রণায় সিঁড়ি ভাঙাও মুশকিল অনেকের কাছে। ঘণ্টাখানেক টানা বসে থাকলে গোড়ালি ফুলে যায়। সায়াটিকার ব্যথাতেও কাতর অনেকেই। এই সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন যোগাসনের একটি বিশেষ পদ্ধতি। আসনের ভঙ্গিমা দেখতে অনেকটা পিরামিডের মতো, তাই নাম পিরামিড পোজ় বা পার্শ্বোত্তনাসন।
অনেকে বলেন, শরীরচর্চা করার সবচেয়ে ভাল সময় ভোরবেলা। এ দিকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করতে হয় অনেক কর্মব্যস্ত মানুষকেই। তার পর ভোর পাঁচটায় ওঠা সম্ভব হয় না অনেকের পক্ষেই। এই আসন যে কোনও সময়েই করা যায়। পার্শ্বোত্তনাসন একধরনের স্ট্রেচিং যা কাজের ফাঁকেও করে নিতে পারেন। এতে হাত-পায়ের জড়তা দূর হবে।
কী ভাবে করবেন পার্শ্বোত্তনাসন?
১) সোজা হয়ে দাঁড়ান।
২) দুই পায়ের মধ্যে ২ ফুটের মতো দূরত্ব রাখুন। দুই পায়ের পাতা যেন এক সরলরেখায় থাকে।
৩) এ বার শরীর ঝুঁকিয়ে দুই হাত দিয়ে মাটি স্পর্শ করতে হবে। প্রথমে দুই হাত বাঁ পায়ের কাছে নিয়ে গিয়ে পায়ের পাতার দু’পাশে মাটিতে রাখুন। পরে ডান পায়ে একই ভঙ্গি করতে হবে।
আরও পড়ুন:
৪) মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। পায়ের পাতার কাছে মাথা নিয়ে যেতে হবে। প্রথম প্রথম অসুবিধা হবে। ধীরে ধীরে আয়ত্তে আসবে।
৫) এই অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিন ও ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন।
৬) স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকার কী হবে?
পা ও হাতের পেশির নমনীয়তা বাড়বে। পায়ের পেশি শক্তি বাড়বে।
পেটের মেদ কমবে, পেটের পেশি টানটান হবে।
হাত-পায়ের অসাড়তা কাটবে, পায়ে ব্যথা থাকলে তা কমবে।
হাঁটুর ব্যথা কমবে নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে।
রোজ আসনটি করলে ঋতুস্রাবকালীন ব্যথাবেদনা কমে যাবে।
কারা করবেন না?
পিঠে বা পায়ে আঘাত থাকলে, আসনটি করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি করা যাবে না।
হার্টের অসুখ থাকলে আসনটি করার আগে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ভার্টিগোর সমস্যা থাকলে এই আসন করা যাবে না।