জলে দ্রবণীয় এই ভিটামিন। শরীরে রক্তকণিকা এবং প্লেটলেট তৈরি সাহায্য করে। এটি আপনার হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, হাড়, চোখ এবং আরও কিছু অঙ্গের খেয়াল রাখে। ভিটামিন ডি-র মতোই অপরিহার্য ভিটামিন বি১২। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যাওয়া, স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোধ করতে সাহায্য করে। এ দিকে আলাদা করে এই পুষ্টি উপাদান শরীরে পৌঁছাতে পারছে কি না, সে ব্যাপারে অবগত নন অনেকেই। ফলে এই ভিটামিনের অভাবে সারা দিন ক্লান্তিতে নুয়ে থাকে শরীর। ছোট-বড় সব ঘটনা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
শরীরে ভিটামিন বি১২-এর অভাব রয়েছে কি না আর কী কী ভাবে বুঝবেন?
· স্মৃতিশক্তি হ্রাস
· দৃষ্টিশক্তি হ্রাস
· মেজাজ খারাপ থাকা বা বিরক্তি
· বিষণ্ণতা বা অবসাদ
· মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরা
· শরীরে অসাড়তা বা ঝিনঝিন করা
· পেশিতে দুর্বলতা
· জ্বর
· হাঁটা বা কথা বলতে অসুবিধা
· শ্বাসকষ্ট বা হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
· ফ্যাকাসে ত্বক
· মুখে ঘা অথবা জিভে ব্যথা
· দুর্বলতা এবং ক্লান্তি
· খিদে কমে যাওয়া এবং ওজন হ্রাস
· কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়েরিয়া
· পেট ফাঁপা
আমিষাশী, নিরামিষাশী এবং ভিগানদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খাদ্যতালিকা থেকে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যেতে পারে।
যেহেতু আপনার শরীর এই পুষ্টি নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না, তাই ঘাটতি মেটাতে খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আমিষাশী, নিরামিষাশী এবং ভিগানদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খাদ্যতালিকা রয়েছে। আপনার খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী, বাজার করতে হবে এ বার থেকে। ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা বাড়িয়েই একমাত্র এ সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আমিষাশীদের জন্য ভিটামিন বি১২-এর উৎস: ডিম (বিশেষ করে কুসুম), মাছ (স্যামন, টুনা), সামুদ্রিক খাবার, রেড মিট, মুরগির মাংস।
নিরামিষাশীদের জন্য ভিটামিন বি১২-এর উৎস: দুগ্ধজাত পণ্য (দুধ, চিজ়, ইয়োগার্ট, দই), ফর্টিফায়েড সিরিয়াল, ফর্টিফায়েড ইস্ট, আলু, বিট, পালং শাক, ফলমূল (আপেল, কলা, ব্লুবেরি, কমলালেবু)
ভিগানদের জন্য ভিটামিন বি১২-এর উৎস: ফর্টিফায়েড উদ্ভিজ্জ দুধ (আমন্ড বা সয় মিল্ক), ফর্টিফায়েড সিরিয়াল, ফর্টিফায়েড ইস্ট, উদ্ভিজ্জ মাংস (টোফু, টেম্পে), তা ছাড়া আলু, বিট, পালং শাক, ফলমূলও (আপেল, কলা, ব্লুবেরি, কমলালেবু) তালিকায় যোগ করা যেতে পারে।