বয়স ষাটের গণ্ডি পেরিয়েছে মানেই সবকিছু খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে এমনটা একেবারেই নয়। বরং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে রোজই এবং অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। একটি বয়সের পরে সুষম খাদ্যতালিকা মেনে চলাই জরুরি। কী খাবেন আর কী বাদ দেবেন, কখন খাবেন এবং কতটা, তা-র সঠিক জ্ঞান থাকতেই হবে। যদি মিষ্টি খাওয়া বারণ হয়ে যায়, অথবা কম শর্করা রয়েছে এমন খাবার খেতে বলেন চিকিৎসক, তা হলে এমন কিছু খেতে হবে যাতে সঠিক পুষ্টিও হয় আবার অসুখবিসুখও দূরে থাকে।
ভিটামিন সি, ভিটামিন বি_৬, সামান্য পরিমাণে ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কে ভরপুর খাবার সপ্তাহে দুতিন দিন খাবারের তালিকায় রাখলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি জোরদার তো হবেই, তার সঙ্গে পেটের গোলমাল কমে হজম ক্ষমতা বাড়বে। একই সঙ্গে কো-মর্বিডিটি অর্থাৎ ওবেসিটি, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
বয়স্কদের বানিয়ে দিন স্মুদি যা খেলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে। কী ভাবে বানাবেন? কী কী মেশাবেন তাতে, রইল টিপ্স।
আনারসের স্মুদি
আনারসের টুকরো, আদা, জিরে ও গোলমরিচ একসঙ্গে মিক্সির জুস মোডে দিয়ে মসৃণ করে পিষে নিন। এবারে দই দিয়ে আর একবার মিক্সি চালিয়ে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফের টুকরো (নাও দিতে পারেন) ও পুদিনা পাতা সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আনারস টক হলে অল্প মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
কলার স্মুদি
দুধের সঙ্গে পিনাট বাটার ও দু’টি কলা মিশিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এই স্মুদি কিন্তু খেতে বেশ ভাল। এই স্মুদিটি বেশ স্বাস্থ্যকর। এই স্মুদি ফাইবার, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি-এর ভাল উৎস। ওজন বৃদ্ধি করতে হলে এই স্মুদিটি রাখতেই পারেন পছন্দের তালিকায়।
ওট্সের স্মুদি
প্রথমে কিছুটা পরিমাণ ওটস শুকনো কড়াইতে ভেজে রেখে দিন। তারপর ১/৪ কাপ ভেজে রাখা ওটস, ১টি কলা, বীজ বের করা খেজুর ২টো, ১ চা চামচ চকোলেটের গুঁড়ো এবং সঙ্গে এক চামচ ভিডাস্লিম প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে নিন। এ বার সব কিছু ব্লেন্ডারে নিয়ে ১ কাপ জল দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। তার পরে উপরে ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে খেয়ে নিন। অনেক ক্ষণ পেটও ভর্তি থাকবে।
আরও পড়ুন:
ছাতুর স্মুদি
অর্ধেক কাপ ছাতু, দুধ, কাঠবাদাম আর খেজুর দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। প্রাতরাশে এই স্মুদি খেতে পারলে আপনার পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকবে। খেজুর আর দুধের মিশ্রণ ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
সজনেপাতা-নারকেলের স্মুদি
প্রথমে নারকেলের দুধ বানিয়ে নিন। তার জন্য মিক্সারে নারকেলের কুচি আর জল মিশিয়ে নিন। এ বার এই নারকেলের দুধে সজনেপাতা, আদা কুচি, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, খেজুর, আপেল কুচি, কাঠবাদাম, দারচিনি গুঁড়ো ও আইস কিউব দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে করে নিন। গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে কাঠবাদাম কুচি ছড়িয়ে খেয়ে নিন।