প্রাতরাশের সময় তাড়াহুড়ো প্রায় সব বাড়িতেই থাকে। কখনও যিনি খাবার বানাচ্ছেন তাঁর তাড়া, কখনও যিনি খাবেন তাঁর।আর তার ফলেই বাদ পড়ে যায় সকালের খাওয়াটা। ওট্স, কিনোয়া ভাল উপায় বটেই, কিন্তু সকলেরই যে খেতে ভাল লাগবে তেমনটা নয়। তা ছাড়া প্রতিদিন তো একই রকম খাবার খাওয়াও যায় না।
তাড়হুড়োর সময়ে কখনও কখনও বেছে নিতে পারেন, বহু দিন ধরে চলে আসা স্বাস্থ্যকর খাবার। জিনিসটি হল ছাতু। একটা সময়ে ছাতুকে বলা হত খেটে খাওয়া মানুষের খাবার। কিন্তু এখন সকলেই ছাতুর কদর করছে। ছাতু প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে। পেশি শক্তিও বাড়ায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ছাতু। ডায়াবিটিসের রোগীরাও খেতে পারেন ছাতু।
কী ভাবে খাবেন?
ছাতু মাখা: পেঁয়াজ, লঙ্কা দিয়ে ছাতু মাখা খাওয়ার চল বহু পুরনো। ছাতুতে একটু সর্ষের তেল, কাঁচা পেঁয়াজ, লঙ্কা মিশিয়ে অল্প জল দিয়ে এবং স্বাদমতো নুন দিয়ে আলু ভাতে বা ভর্তার মতো মাখা হয়। শুকনো ছাতু কিন্তু টিফিনেও নেওয়া যায়। মুড়ির সঙ্গেও অনেকে ছাতু মেখে খান। পেঁয়াজ, লঙ্কা দু’টিরই উপকারিতা আছে। ছাতুর পু্ষ্টিগুণের কথা স্বীকার করেন পুষ্টিবিদেরাও। সকাল বেলা প্রোটিন সমৃদ্ধ প্রাতরাশে ছাতুও রাখা চলে। তবে শুকনো ছাতু খেতে অসুবিধা হলে জলের পরিমাণ বাড়িয়ে কাদার মতোও গুলে নিতে পারেন।
শরবত: সকালে উঠে এক গ্লাস ছাতুর শরবত যেমন ১ মিনিটে খাওয়া হয়ে যায়, তেমনই শরীরে জলের অভাব দূর হয়। ছাতু জল, বিটনুন, গোলমরচি, ধনেপাতা দিয়ে গুলে নিন। দিতে হবে পাতিলেবুর রস। পাতিলেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে শরবতে চিনি মেশানো যাবে না।
চিলা: বেসন দিয়ে যেমন চিলা বানানো হয়, ছাতু দিয়েও কিন্তু তা বানানো সম্ভব। ছাতু জল দিয়ে গুলে তাতে যোগ করুন পেঁয়াজ, ধনেপাতা, ক্যাপসিকাম, গাজর কুচি, ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা। ছাতু দিয়ে বানিয়ে নিন চিলা। আবার ছাতু দিয়ে অমলেটের মতো বানিয়ে ভিতরে পনির, ছানার পুরও দিয়ে দেওয়া যায়। এতে পেট ভরবে, আবার শরীর ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন সবটাই পাবে।