স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার সমস্যা অনেক। খাওয়ার থেকে না খাওয়ার তালিকার দৈর্ঘ্য বেশি। ফলে পছন্দের খাবারের দিকে হাত বাড়িয়েও হাত গুটিয়ে নিতে হয় অধিকাংশ সময়ে। ধরুন স্যান্ডউইচ খেতে ভালবাসেন। এক সময়ে নিশ্চিন্তে দু’টি পাউরুটির মাঝে চিজ়ের পরত, শসা-টম্যাটো-পেঁয়াজের উপর ছড়িয়ে দিতেন মেয়োনেইজ বা স্যান্ডউইচ স্প্রেড। এখন পাউরুটি বাছতে গেলে প্রথমে মনে হবে আটা না ময়দার তৈরি। তার পরে ভাবতে হবে যে চিজের টুকরো দিচ্ছেন, সেটি প্রক্রিয়াজাত কি না এবং শেষে মেয়োনেইজ বা স্প্রেডের মায়াও ত্যাগ করতে হবে কারণ, তাতে রয়েছে পাম অয়েলের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্ষতিকর সোডিয়াম।
তবে কি স্যান্ডউইচ খাওয়া ছেড়ে দেবেন? পাউরুটি যদি বা বাড়িতে ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস বা আটা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন, স্বাস্থ্যকর স্প্রেড পাবেন কোথা থেকে! এমন পরিস্থিতিতে সহায় হতে পারে স্যান্ডউইচ স্প্রেডের একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। যাতে ক্ষতিকর ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের বাড়াবাড়ি তো নেই-ই। বরং তা ভরপুর স্বাস্থ্যকর প্রোটিনে। খেতেও সুস্বাদু। আর সব থেকে বড় কথা হল, প্রোটিন সমৃদ্ধ ওই স্যান্ডউইচ স্প্রেড পেতে বাইরে যেতে হবে না। বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যাবে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ ওই স্যান্ডউইচ স্প্রেড বানাতে যা যা লাগবে
৩০০ গ্রাম পনির, ১/২ কাপ দই, ৩-৪টি রসুনের কোয়া, ১টি কাঁচা লঙ্কা, ১ চা চামচ চিলি ফ্লেকস, ১ চা চামচ অরিগ্যানো এবং প্রয়োজনমতো নুন।
কী ভাবে বানাবেন?
প্রথমে পনিরগুলোকে হাতে করে ভেঙে নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। তার মধ্যে দিন দই, রসুন, কাঁচালঙ্কা এবং নুন। স্প্রেডটিকে আরও স্বাস্থ্যকর বানাতে কম সোডিয়াম বিশিষ্ট স্বাস্থ্যকর নুন বেছে নিতে পারেন। এ বার সবকিছু ব্লেন্ডারে মিহি ভাবে বেটে নিন। তার পরে একটি পাত্রে ওই মিশ্রণ ঢেলে তাতে মিশিয়ে নিন চিলি ফ্লেকস এবং অরিগ্যানো।
কত দিন থাকবে?
এই মিশ্রণটি ফ্রিজে বায়ুরোধক কাচের পাত্রে তিন দিন পর্যন্ত রেখে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যেহেতু বানানো সহজ, তাই টাটকা বানিয়ে ব্যবহার করাই ভাল।