Advertisement
E-Paper

Vitiligo Treatment: ঠিক কী কারণে শ্বেতি হয়? এই রোগ কি পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব?

শুধু ত্বকই নয়, অনেক সময়ে চুল এবং রোমও সাদা হয়ে যায়। প্রভাব পড়ে চোখের মণির উপরেও। কী ভাবে এড়িয়ে চলবেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ১৬:২৪
কোন প্রসাধনী শ্বেতি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

কোন প্রসাধনী শ্বেতি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

শ্বেতির সঙ্গে কম-বেশি সকলেই পরিচিত। কিন্তু কখন কার জীবনে এই রোগ হানা দেবে তা, আগে থেকে বলা যায় না। যেমন বলা যায় না, এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ কোনও উপায়ের কথা। রোগটি মারণ নয়, ঘাতকও নয়। তবে এক বার শরীরে বাসা বাঁধলে তা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেহে।

ঠিক কী কারণে শ্বেতি হয়?

আমাদের ত্বকের রং তৈরি করতে সাহায্য করে মেলানোসাইট কোষে থাকা মেলানিন নামে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ। অনেক সময়ে শারীরিক সমস্যার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা অ্যান্টিবডি ত্বকের রং তৈরি করা এই কোষগুলিকে শত্রু মনে করে ধ্বংস করতে থাকে। এবং ত্বক তার স্বাভাবিক রং হারাতে থাকে। এরই ফল শ্বেতি। এতে শুধু ত্বকই নয়, অনেক সময়ে চুল এবং রোমও সাদা হয়ে যায়। প্রভাব পড়ে চোখের মণির উপরেও।

চিকিৎসকদের মতে, বেশির ভাগ শ্বেতি ইদানীং অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার থেকে হয়। রোজকার জীবনে এই সব রাসায়নিক সকলের ত্বক সহ্য করতে পারে না। তখনই শুরু হয় সমস্যা। হেয়ার ডাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরি। এতে থাকা পি-ফেনিলেনেডিয়ামাইন বা ‘পিপিডি’ শ্বেতি ডেকে আনতে পারে। এ ছাড়া সাবধানতা অবলম্বন করুন ডিও, পারফিউম স্প্রে, ফরসা হওয়ার বিভিন্ন ক্রিম, ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো সানস্ক্রিন, অ্যাডহেসিভ রয়েছে এমন কোনও আঠালো দ্রব্য, ডিটারজেন্ট, কড়া অ্যান্টিসেপটিক থেকেও। এগুলি ব্যবহার করলেই যে শ্বেতি হবে এমনটা নয়, তবে যাঁদের ত্বক এই সব রাসায়নিকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না, বিপদ ঘনাবে তাঁদেরই।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এর কি চিকিৎসা সম্ভব?

ওষুধ ও অস্ত্রোপচার দু’ভাবেই এ রোগের চিকিৎসা হতে পারে। ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ও ক্রিম দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ফোটোকেমো থেরাপিও করানো হয় বা আক্রান্ত অংশে ওষুধ লাগিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে অতিবেগুনি রশ্মিও গায়ে লাগানোর কথাও বলে থাকেন চিকিৎসকরা। ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি রোগটি ঠোঁট ও আঙুলের ডগায় ছড়িয়ে যায়, তখন চিকিৎসকরা স্কিন গ্রাফ্টিং করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে প্রথম থেকে ঠিক মতো চিকিৎসা না করালে এক বার যদি তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তা হলে কিন্তু মুশকিল। শ্বেতির সঙ্গে কারও যদি থাইরয়েড, ডায়াবিটিস, অ্যাজমা, এগজিমা বা অন্য অটোইমিউন ডিজিজ থাকে, যা শ্বেতির চিকিৎসাকে প্রভাবিত করতে পারে, তা হলে রোগটি সারানো সহজ নয়।

Vitiligo Health Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy