উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বয়স বাড়লে এই সমস্যাও বাড়ে। এ ছাড়াও যাঁদের ওজন বেশি, খুব বেশি ভাজাভুজি বা তেল-মশলা দেওয়া খাবার খান, সেই সব মানুষের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ হয়। রক্তচাপের মাত্রা তার উপরে উঠলেই উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। গবেষণা বলছে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে হলুদ। তা কী ভাবে?
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-এর একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, হলুদের কারকিউমিন যৌগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড় ভূমিকা নেয়। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি কার্যকরী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আর্থ্রাইটিস,, হাঁপানি, হার্টের রোগ, ডায়াবিটিস, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও কারকিউমিন উপযোগী।
হলুদ শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়ায়, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কাঁচা হলুদের রসে সামান্য নুন মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খেলে তা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে পারে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়।
আরও পড়ুন:
হলুদ কী ভাবে খেলে উপকার পাবেন?
হলদি চা বানিয়ে খেতে পারেন। দুধ বা জলে কাঁচা হলুদ, গোটা গোলমরিচ, দারচিনি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে গরম গরম খেতে পারেন। এই চা কেবল কোলেস্টেরল কমাবে তা-ই নয়, সর্দিকাশির সমস্যা থেকেও রেহাই দেবে।
জলে কাঁচা হলুদ ও আদা দিয়ে ফুটিয়ে তাতে গোটা গোলমরিচ দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে খেতে পারেন। হলুদ-আদার চা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে।
তবে কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের বেশি হলুদ না খাওয়াই ভাল। ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজ়অর্ডার’-এর মতো জটিল সমস্যা থাকলে হলুদ এড়িয়ে চলাই ভাল।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। গবেষণার ফল সকলের জন্য একরকম না-ও হতে পারে। রক্তচাপের সমস্যা থাকলে কী খাবেন আর কী নয়, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।