কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই পানীয় প্রতীকী ছবি।
গ্রীষ্মের চড়া রোদের দুপুরে আখের রসে চুমুক দিলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। শুধুমাত্র তেষ্টা মেতাতেই নয়, আখের রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ নির্মূল করে শরীরকে ভিতর থেকে ঝরঝরে করে তোলে।
কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই পানীয়
শক্তি বৃদ্ধি করে: গ্রীষ্মকালে ঘাম বেশি হয়, ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। অনেকেই খুব ক্লান্ত বোধ করেন। এই সময়ে আখের রস পান করলে শরীরে কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়, যা শক্তির মাত্রা বাড়ায়।
প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়: নারী ও পুরুষ, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রজননের নানা সমস্যার সমাধানে বেশ কার্যকরী আখের রস। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে আখের রস বেশ উপযোগী। মহিলাদের নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে সন্তান প্রসবেও সহায়তা করে আখের রস। স্তনদুগ্ধ নিঃসরণেও আখের রস সহায় হয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
লিভার ভাল রাখে: লিভার ভাল রাখতে ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আখের রস বেশ উপকারী। জন্ডিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও আখের রস একটি প্রচলিত পথ্য। প্রস্রাবের সংক্রমণ-জনিত সমস্যায় ভুগলেও আখের রস খেলে উপকার পেতে পারেন।
ত্বক পরিচর্যায়: ত্বক ও চুল ভাল রাখার ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর আখের রস। আখের রসে থাকে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, যা ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে, ব্রণর সমস্যা দূর করে। মাথার খুশকির সমস্যা কমাতেও এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে: আখে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ফাইবার নিয়ন্ত্রণে রাখে কলেস্টেরলের সমস্যাকেও।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আখের রসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। গ্রীষ্মে আখের রস পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে: যাঁদের ডায়াবিটিস আছে তাঁরা আখের রস এড়িয়ে চলেন। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, আখের মধ্যে আইসোম্যাল্টোজ নামক একটি উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। টাইপ-টু ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে নেমে গেলে আখের রস খেলে উপকার পেতে পারেন। হাইপোগ্লাইসিমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্যেও এই রস উপকারী। তবে কী পরিমাণে আখের রস খাবেন, তা কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসদের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খাওয়া ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy