— প্রতীকী চিত্র।
প্রতি মাসে ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা-যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। সেই ব্যথা সহ্য করে কাজ করা অসহনীয় হয়ে ওঠে কারও কারও ক্ষেত্রে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়ে পেটে যন্ত্রণা, মন-মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয় মূলত হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে। তা ছাড়া, ‘পিসিওডি’ বা ‘এন্ডোমেট্রিয়োসিস’-এর মতো সমস্যার জন্যও ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা হতে পারে। হরমোনের কারসাজিতেই এ সময়ে মিষ্টিজাতীয় কিছু খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ক্ষতি হবে জেনেও মিষ্টি খেয়ে ফেলেন অনেকে। ব্যথা কমানোর ওষুধ এই সময়ে একমাত্র সম্বল হলেও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেই যায়। তাই ঘরোয়া কিছু উপাদানে খেয়ে এই ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা যেতেই পারে।
ঋতুস্রাব চলাকালীন কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?
আনারস
ঋতুস্রাব চলাকালীন সাধারণত জরায়ুর পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণের ফলে ব্যথা হয়। এই ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আনারস। এই ফলে থাকা বিভিন্ন প্রদাহনাশক যৌগ ব্যথা-বেদনা নিরাময়ে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি, যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে।
তরমুজ
তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা প্রদাহনাশ করতে সাহায্য করে। শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে এ সময়ে তরমুজ খাওয়া জরুরি।
আদা
ঋতুস্রাবের সময়ে পেটে যন্ত্রণা হলে অনেকেই চায়ের মধ্যে আদা ফুটিয়ে খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যানালজেসিক যৌগগুলি ঋতুস্রাবজনিত কষ্টে আরাম দেয়।
বিট
বিটের মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, রক্তর প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। জরায়ুতে রক্তের জোগান পর্যাপ্ত থাকলে তা ঋতুস্রাবজনিত বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে।
লেবু
এই সময়ে অনেকেই টকজাতীয় কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, তেঁতুল বা আমচুরজাতীয় কিছু না খেলেও পাতিলেবুর রস খাওয়া যায় অনায়াসে। পাতি লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy