গুড়ের বয়স বাড়লে তা স্বাদে, গুণে বৃদ্ধি পায়। ছবি: সংগৃহীত।
শীত মানেই গুড়ের মিষ্টি। পায়েস, পিঠেপুলি, রসগোল্লা, সন্দেশ থেকে মোয়া— গুড়ের ছোঁয়ায় এই সব খাবারের স্বাদ যেন অমৃত হয়ে ওঠে। তবে শীতকালে নতুন গুড় নিয়ে মাতামাতি থাকলেও এক-দু’বছরের রেখে দেওয়া পুরনো গুড়ের পুষ্টিগুণ কিন্তু কম নয়। শীতের সময়ে সংক্রমণজনিত নানা ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরনো গুড় খাওয়ার চল বহু কালের। নানা রোগ নিরাময়ে আয়ুর্বেদেও পুরনো গুড় ব্যবহারের কথা বলা আছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজে ভরপুর এই গুড়ের বয়স বাড়লে তার স্বাদ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনই পুষ্টিগুণের দিক থেকেও তা আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
পুরনো গুড় খেলে কোন কোন রোগ নিরাময় হয়?
১) রোগ প্রতিরোধ শক্তি
গুড়ে থাকা জ়িঙ্ক, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই গুড় সাহায্য করে।
২) আয়রনের উৎস
রক্তে আয়রনের ঘাটতি থাকলে গুড় খেতে বলা হয়। রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের চিকিৎসায় বহুল জনপ্রিয় এই আয়ুর্বেদিক নিদান।
৩) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায়
অনেক দিনের পুরনো কাশি, বুকে জমা সর্দির কষ্ট কমাতে গুড় দারুণ কাজ করে। শীতে ভাইরাসের সংক্রমণে শ্বাসযন্ত্রের নানা রকম সমস্যা হয়। শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই মিলতে পারে নিয়মিত একটু করে গুড় খেলে।
৪) হজমতন্ত্র ভাল রাখে
কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা কিংবা ডায়েরিয়া— পেটের যে কোনও সমস্যায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে খেয়ে দেখতে পারেন পুরনো গুড়। অন্ত্র ভাল রাখতে এই টোটকা দারুণ কাজ করে।
৫) অস্থিসন্ধির যত্নে
শীতে বয়স্কদের গাঁটের ব্যথা বাড়ে। বাত না থাকলেও অস্থিসন্ধির যন্ত্রণায় কাবু হন অনেকেই। পেশি এবং হাড়ের নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে পুরনো গুড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy