অল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমিয়ে অনুরাগীদের চমকে দিয়েছেন কমেডিয়ান কপিল শর্মা। এক সময় নিয়মিত মদ্যপান এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে অনেকটাই ওজন বেড়েছিল তাঁর। কপিল কী ভাবে এই কঠিন সফরে সফল হয়েছেন, তা ব্যখ্যা করেছেন তাঁর ফিটনেস প্রশিক্ষক যোগেশ ভাতেজা। তিনি জানিয়েছেন, ওজন কমাতে কপিল ’২১ ২১ ২১’ নিয়ম অনুসরণ করে সফল হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে ওজন কমে কপিলের
যোগেশের মতে, সুস্থ জীবন যাপনের তাগিদ অনুভব না করলে অনেকেই তাঁদের দৈনন্দিন ডায়েটকে বিশেষ পাত্তা দেন না। বাড়িতে খাওয়াদাওয়া চলতে থাকে। একই সঙ্গে বাইরে বেরোলে ভাজাভুজিও খেয়ে থাকেন অনেকে। ফলে ওজন যে বাড়ছে, তা অনেকেই খেয়াল করেন না।
কিন্তু যখন কোনও ব্যক্তি তাঁর দৈনিক ক্যালোরির খবর রাখেন বা কী খাচ্ছেন, তা খেয়াল করেন— তখন নিজে থেকেই তাঁর জীবন বদলাতে শুরু করে। একই সঙ্গে ব্যক্তির ঘুম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন সব কিছুই বদলে যায়। তাই ওজন কমাতে গেলে মানসিক দিক থেকে আগে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন। তার পরে আসে শারীরিক কসরতের প্রসঙ্গ। কপিলের ক্ষেত্রে যোগেশ এই নীতিই অনুসরণ করেছেন। ডায়েট বা শরীরচর্চা শুরুর পর, তাতে শরীর কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা বিচার করেই এগনো উচিত বলে মনে করেন যোগেশ। তাই কপিলের ক্ষেত্রে ডায়েটের পাশাপাশি কার্ডিয়োর উপরে জোর দেন তিনি।
‘২১-২১-২১’ নিয়ম কী?
এই নীতিতে দৈনন্দিন ডায়েট এবং শরীরচর্চাকে ২১ দিনে এবং তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়।
১) প্রথম ২১ দিনে মূলত শরীরের বিভিন্ন স্ট্রেচিংয়ের উপরে জোর দিয়েছিলেন কপিল। এই সময়ে ডায়েট করার কোনও প্রয়োজন থাকে না। কিন্তু ব্যক্তি যেন ২১ দিনই অন্তত একবার শরীরচর্চা করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
২) দ্বিতীয় পর্বে ২১ দিনে ব্যক্তির ডায়েটে পরিবর্তন করতে হয়। যেমন চিনির পরিবর্তে গুড়ের ব্যবহার। বা খাবারে সব্জির পরিমাণ বৃদ্ধি করা। খুব রাত করে খাবার না খাওয়া। একই সঙ্গে চলবে শরীরচর্চা।
৩) তৃতীয় পর্বে ২১ দিনে ব্যক্তিকে ধূমপান, মদ্যপান এবং কফি পানের আসক্তিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। কপিলও তাই করেছিলেন। যোগেশের মতে, এই ধরনের অভ্যাসের উপর নির্ভরতা কমলে, তখন ব্যক্তি নিজেকে আরও ভাল চিনতে পারে। সুস্থ জীবনযাপনের ক্ষেত্রেও তাঁর মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
যোগেশের মতে, এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ৪২তম দিনে ব্যক্তি নিজের মধ্যে একাধিক পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন। তাঁর কথায়, ‘‘তার পর নিজেকে আরও ভাল রাখার ইচ্ছা বেড়ে যায়। জীবন থেকে বদভ্যাসগুলি অনেকটাই কমে যায়।’’ যোগেশের মতে, ৬৩তম দিনের পর অনেকেরই সুস্থ জীবনযাপনের ইচ্ছা বেড়ে যায়। তখন আর তাঁর আলাদা ভাবে অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয় না।