পর্দায় করিনা কপূর খান এবং ভিকি কৌশল দুই দক্ষ শিল্পী জনপ্রিয় জুটি হতে পারেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ তাঁদের একসঙ্গে অভিনয় করাননি। কর্ণ জোহর যা-ও বা ভেবেছিলেন, সে ছবি আর ফ্লোরেই পৌঁছোয়নি। কিন্তু সেই জুটিকে পর্দায় কেমন লাগতে পারে, তার আন্দাজ হয়ে গেল সম্প্রতি। একটি ফোটোশুটে দেখা দিলেন জুটিতে। আর সেখানেই দু’জনের আড্ডায় জানা গেল ভিকির স্ত্রী, ক্যাটরিনা কইফের আশ্চর্য ডায়েটের কথা।
করিনা এবং ভিকি দু’জনেই পঞ্জাবি। বাটার চিকেন, সর্ষের শাক, মক্কির রুটি, ছোলে ভাটুরে এ সব ছাড়া মন ভরে না তাঁদের। কিন্তু পেশার খাতিরে খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানতেই হয়। ঠিক যেমন ২০০৮ সালে ‘টশন’ ছবির জন্য জ়িরো ফিগার তৈরি করতে হয়েছিল করিনাকে। কিন্তু করিনা-ভিকির সঙ্গে কথাবার্তায় জানা গেল, সে সময়েও কৃচ্ছ্রসাধন করতে পারেননি অভিনেত্রী। করিনা ভিকিকে বলছেন, ‘‘আমি যখন ‘টশন’ করেছিলাম, সে সময়েও সকালের জলখাবারের পরোটা খেতাম। আমি কখনওই কমলালেবুর রস খেয়ে ডায়েট করার মানুষ ছিলাম না। আমি চিরকালই এ রকম। সারা দিন ধরে অল্প খেয়ে থাকা। সকালে উঠে মন ভরে জলখাবার খাওয়া। এই ছিল আমার মূলমন্ত্র।’’ করিনার কথা শুনে বাক্রুদ্ধ হয়ে যান ভিকি। বিশ্বাসই করতে পারেন না, সকালে পরোটা খেয়ে জ়িরো ফিগার অর্জন করেছিলেন করিনা।
করিনা কপূর খান এবং ভিকি কৌশলের আড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
তবে পঞ্জাবি খানাপিনার একেবারে বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে ক্যাটরিনা। ভিকিকে উদ্দেশ্য করে করিনা বললেন, ‘‘সব পঞ্জাবিই খেতে ভালবাসেন। তোমাকে দেখেই কেবল অবাক হই। আমার মনে হয়, তোমার স্ত্রী তোমায় এমন বানিয়ে দিয়েছে। তুমিও তার মতো কেবল স্যামন মাছ খেয়ে থাকো। কারণ, মনে আছে, এক সময়ে ক্যাটরিনা কেবল স্যামন খেয়ে থাকত।’’ ভিকির উত্তর, ‘‘হ্যাঁ ঠিকই। সেটা বোধ হয় ‘ধুম’ সিনেমার শুটের সময়ে। আমি গল্প শুনেছি, তখন ক্যাটরিনা আর আমির (খান) শুধু স্যামন আর সব্জি খেত।’’
বলিউডেরই দুই নায়িকা। এক জনের স্যামন মাছেই পেট ভরে যায়, অন্য জনের কিছু দিন বাদে বাদেই আলুর পরোটা আর সাদা মাখন চাই-ই চাই। খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিস্তর আবেগ। তবে এ থেকে স্পষ্ট, পছন্দ মতো খাওয়াদাওয়া করেও ছিপছিপে মেদহীন চেহারা পেতে অসুবিধা হয় না সব সময়ে। কেবল কৌশল জেনে নেওয়া এবং পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া দরকার। আগেভাগেই সব খাওয়া ছেড়ে দিলে মনের আনন্দ উধাও হয়। আর তাতে ডায়েট থেকে অবসাদ চলে আসতে পারে।