ছবি: সংগৃহীত।
কাজ থেকে ফিরে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে ভাল লাগে না। তাই ভাতের সঙ্গে একটু আলু আর ডিম সেদ্ধ করে নেন। গরম ভাতে একটু ঘি ছড়িয়ে নিলেই আর কিছু প্রয়োজন পড়ে না। ঘিয়ের গন্ধেই খাবার খাওয়া হয়ে যায়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সাধারণ এই খাবারটির পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে গোলমরিচের গুণে। ঘিয়ের সঙ্গে যদি সামান্য গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন, তা হলে অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। কী কী উপকার হয় ঘিয়ের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে?
১) ঘিয়ের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা-ও নিরাময় হবে এই টোটকায়।
২) যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্য ঘি-গোলমরিচের টোটকা দারুণ কাজের। ঘিয়ের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গোলমরিচের মধ্যে থাকা ‘প্যাপেরিন’ বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৩) ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে ‘প্যাপেরিন’। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
৪) প্রদাহজনিত সমস্যা বশে রাখতেও সাহায্য করে এই টোটকা। ফলে শারীরিক ব্যথাবেদনা, আর্থ্রাইটিসের কষ্ট বশে রাখতে গোলমরিচের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাওয়া যায়।
৫) গোলমরিচের মধ্যে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যেগুলি চুল, ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এ ছাড়াও রয়েছে এমন কিছু ভিটামিন, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন?
প্রথমে গোলমরিচ গুঁড়ো করে ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণ খেতে পারেন। তবে একেবারে খালি পেটে ঘি খেলে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গরম ভাতে ঘি এবং গোলমরিচ দিয়েও খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy