পুজোর দিনগুলিতে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। ছুটি কাটতেই ওজন নিয়ন্ত্রণের চিন্তা মাথায় বাসা বাঁধে। উৎসবরে মরসুমে ওজন বাড়লেও ক্ষতি নেই। কারণ দৈনন্দিন রুটিনে সহজ কতকগুলি পরিবর্তন করলে ১ মাসে ওজন কমতে পারে। অল্প নয়, এই পরিবর্তনগুলি দেহের ওজন ৩ কেজি পর্যন্ত কমাতে পারে।
আরও পড়ুন:
১) ডায়েটে প্রোটিনের আধিক্য পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। তার ফলে সারা দিনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এ ক্ষেত্রে সুফলের জন্য প্রাতরাশে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো উচিত। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রাতরাশে প্রোটিন থাকলে তা মেটাবলিজ়মের গতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রোটিন ফ্যাটকে ভাঙতেও সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয় না।
২) প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পানের অভ্যাস মেদ কমাতে সাহায্য করে। তার কারণ দেহে জলের উপস্থিতি বিপাকক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে। দুপুর বা রাতের খাবারের আগে এক গ্লাস জল পানের ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওযার ইচ্ছে তৈরি হয় না। জল বেশি পান করা ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। তার ফলে শরীরে শক্তির অভাব ঘটে না। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে দেহে অতিরিক্ত মেদও জমতে পারে না। পুষ্টিবিদদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে গড়ে ৮ গ্লাস জল পান কার উচিত।
৩) ওজন কমাতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু তার জন্য জিমে না গেলেও চলে। দিনে যদি ৩০ মিনিট সময় বার করা সম্ভব হয়, তা হলেই এক মাসের মধ্যে ওজন কমতে পারে। প্রতিদিন আধ ঘণ্টা হাঁটা, স্কিপিং বা জগিং করতে পারলে উপকার পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়াও সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার মাধ্যমেও মেদ কমানো সম্ভব।