কোন ভুলে ডায়েটের মাঝেও ওজন বেড়ে যায়? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে ওজন ঝরানোর একটা বড় পর্ব থাকে। সারা বছরের শত অনিয়ম পুজোর আগে ঝেড়ে ফেলার একটা দীর্ঘ প্রস্তুতি চলতে থাকে। অনেকের ধারণা কম খাবার খেলেই রোগা হওয়া যায়। তাই পুজোর আগে এক প্রকার খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকেই। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, রোগা হওয়ার জন্য উপোস করে থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। ডায়েট শুরুর দিকে খিদে পাওয়া স্বাভাবিক। তবে খিদে মেটাতে যা খুশি তা-ই খেয়ে নেওয়া যায় না। খিদে পেলেও তা সামাল দেওয়া জরুরি। নয়তো ওজন বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু কী ভাবে দেবেন?
১) ডায়েট করার সময়ে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। এ ধরনের খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। ফলে খিদে কম পায়। তা ছাড়া, ফাইবার হজমের গোলমাল ঠেকাতেও সমান উপকারী। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কম হলে বার বার খিদেও পাবে না। ওটমিল, বার্লি, ফল ও শাকসব্জিতে থাকে ফাইবার। এ ছাড়াও মটর, শিম ও বিভিন্ন প্রকার ডালে ফাইবার আছে।
২) খিদে পেলে বেশি করে জল খেয়ে নিন। এতে খিদে অনেকটাই কমে। জল খেলে পেট ভরে যায়। যে কোনও ডায়েট করার সময়ে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। চাইলে ডিটক্স পানীয় খেতে পারেন।
৩) মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এমন হলে অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন। নইলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না।
৪) খাওয়ার সময়ে তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদেও কম পায়। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy