পুজোর আগে কড়া ডায়েট করেও মিলছে না মনের মতো ফল? ভুলটা ঠিক কোথায় হচ্ছে

পুজোর মাস দুয়েক আগে থেকেই জোর কদমে শরীরচর্চা শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য একটাই, পুজোর ভিড়ে সকলের নজর কাড়া! ওজন কমানো একটি দীর্ঘ এবং পরিশ্রমসাধ্য প্রক্রিয়া। ঝক্কিও কম নেই। নিয়ম করে শরীরচর্চা, জিমে যাওয়া, খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা, অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা সত্ত্বেও ওজনের তেমন হেরফের হচ্ছে না? ধৈর্য হারিয়ে মাঝপথে রোগা হওয়ার বাসনায় ইতি টানছেন? সেটা না ভেবে সফল না হওয়ার পিছনের কারণগুলি খুঁজে বের করা জরুরি। ওজন কমানোর এই পর্বে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন— রইল তার হদিস।

১) খালি পেটে থাকা: রোগা হওয়ার সহজ উপায় হিসাবে না খেয়ে থাকাটাই বেছে নেন অনেকে। আর সমস্যাটা শুরু হয় এখান থেকেই। না খেয়ে থাকার ফলে প্রভাব পড়ে বিপাকীয় হারের উপর। দুর্বলতা ও ক্লান্তি তো আছেই। এর ফলে ব্যাহত হয় শরীরচর্চাও। প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকেও বঞ্চিত হয় শরীর। সব মিলিয়ে ওজন হ্রাসের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না শরীরে।

২) প্রোটিনের ঘাটতি: পরিমাপ মতো খাওয়াদাওয়া করাটাও ওজন কমানোর অন্যতম উপায়। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে গিয়ে অনেকেই প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাটের মতো শরীর-বান্ধব উপাদান-সমৃদ্ধ খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে ফেলেন। শরীরে সেগুলির ঘাটতি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার একেবারে বাদ দিলে চলে না। ওজন ঝরাতে প্রোটিনেরও সমান ভূমিকা আছে।

৩) প্রাতরাশ না করা: ব্যস্ততা হোক বা অন্য কোনও কারণ— অনেকেই সকালের খাবার এড়িয়ে চলেন। কিংবা খেতে ভুলে যান। এই অভ্যাস দীর্ঘ দিন ধরে চললে ওজন বাড়ে বই কমে না। সকালের খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতরাশে কী থাকছে তার উপর নির্ভর করে সারা দিনের শরীরের হালচাল। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমানোর প্রথম ধাপই হল সকালে ভারী জলখাবার খাওয়া।