ইউরিক অ্যাসিড যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, কিডনিতেও তার প্রভাব পড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
ইউরিক অ্যাসিড যে কোনও বয়সে বাড়তে পারে। বয়স বাড়লেই তবে এ ধরনের শারীরিক সমস্যা হবে, তার কিন্তু কোনও মানে নেই। তাই সতর্ক থাকার কোনও বিকল্প নেই। ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে মানেই হাঁটুতে ব্যথা, গোড়ালিতে যন্ত্রণার মতো নানা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে তাই বাড়তি সাবধানে থাকতে বলেন চিকিৎসকেরা। কারণ, ইউরিক অ্যাসিড যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, কিডনিতেও তার প্রভাব পড়ে। ইউরিক অ্যাসিড বশে রাখার জন্য শুধু ওষুধ খেলে হবে না। বদল আনতে হবে খাওয়াদাওয়াতে। বিশেষ করে সকালের জলখাবারে যদি কয়েকটি খাবার রাখা যায়, তা হলে সুস্থ থাকা সহজ হয়।
কলা
দিনের শুরুতে একটা কলা খেলে ইউরিক অ্যাসিড দূরে পালাবে। কলায় আছে ভরপুর পরিমাণে পটাশিয়াম। প্রতিটি অঙ্গ সচল রাখতে পটাশিয়ামের জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া, কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও। ইউরিক অ্যাসিড থেকে দূরে থাকতে দিন শুরু করতে পারেন কলা খেয়ে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে এই ভিনিগার। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীর ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপর। গরম জলে কয়েক ফোঁটা ভিনিগার মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
আপেল
এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার রক্তের ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে নেয়। এ ছাড়া, আপেল ম্যালিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হলুদ
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভরসা রাখতে পারেন হেঁশেলের এই মশলাও। প্রদাহ কমানোর উপাদানে সমৃদ্ধ হলুদ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিড যেহেতু হাঁটুতে বেশি প্রভাব ফেলে, হাঁটুর ব্যথা কমাতে লাগাতে পারেন হলুদের মিশ্রণ। ইউরিক অ্যাসিড থাকলে রোজ সকালে খাওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy