দুঃস্বপ্ন দেখার সঙ্গে স্নায়ুকোষের অবক্ষয়ের কোনও না কোনও সম্পর্ক রয়েছে। ছবি: প্রতীকী
৪০ এবং ৫০-এর ঘরে থাকা ব্যক্তিদের বার বার দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা হতে পারে বড় চিন্তার কারণ। যাঁরা এই বয়সে মাঝেমধ্যেই দুঃস্বপ্ন দেখেন, তাঁদের ভবিষ্যতে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেশি। এমনই দাবি করা হল ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায়।
‘ই ক্লিনিক্যাল মেডিসিন’ নামের একটি বিজ্ঞানপত্রে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। মূলত দুই ধাপে ভাগ করে এই গবেষণা চালানো হয়। প্রথম ধাপে প্রায় ১৩ বছর ধরে ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সি ৬০৫ জনকে পরীক্ষা করেন গবেষকরা। এঁদের কারও পরীক্ষা শুরুর আগে ডিমেনশিয়া ছিল না। অপর ধাপে ৮০ বছরের বেশি বয়সি ২,৬০০ জনকে পাঁচ বছর ধরে পরীক্ষা করেন গবেষকরা।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধ্য বয়সে যাঁরা সপ্তাহে অন্তত দু’বার খারাপ স্বপ্ন দেখেছেন তাঁদের মস্তিষ্কের সক্ষমতা হ্রাসের আশঙ্কা প্রায় চার গুণ বেশি। অন্য দিকে অশীতিপর ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা কোনও রকম দুঃস্বপ্ন দেখেন না, তাঁদের তুলনায় যাঁরা নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখেন, তাঁদের ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় দ্বিগুণ। গোটা বিষয়টি থেকে বিজ্ঞানীদের ধারণা, দুঃস্বপ্ন দেখার সঙ্গে স্নায়ুকোষের অবক্ষয়ের কোনও না কোনও সম্পর্ক রয়েছে। তবে সেই সম্পর্কটি ঠিক কী, তা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলেই মত তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy