বাজির শব্দে মাথাব্যথা বাড়ে স্বাভাবিক ভাবেই। মাইগ্রেন যাঁদের আছে, তাঁদের ভোগান্তি বেশি। দুমদাম বাজির শব্দ নাগাড়ে কানে গেলে, মাইগ্রেনের ব্যথা সপ্তমে চড়বে। অনেকের আবার বুক ধড়ফড়, অ্যাংজ়াইটি অ্যাটাকও হয়। আর অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তো কথাই নেই। বাজির বিকট শব্দে ঘুমের দফারফা হবেই। ফলে মাথাব্যথার সমস্যা আরও বাড়বে। মাইগ্রেনের ব্যথা যেমন-তেমন ব্যথা নয়, যে এক বার হল আর সেরে গেল। এক বার শুরু হলে ব্যথা কমার নামই নেই। একটা গোটা দিন তো বটেই, টানা দুই থেকে তিন দিন ধরে দেখবেন মাথাব্যথা ভোগাচ্ছে। ওষুধ খেয়েও লাভ হয় না খুব একটা।
আইনি কড়াকড়িতে শব্দবাজি নিষিদ্ধ হলেও তার দৌরাত্ম্য খুব একটা কমেনি। কালীপুজোর দিনকয়েক আগে থেকেই একটানা বাজির শব্দ শোনা যাচ্ছে শহর থেকে শহরতলিতে। এই শব্দে মাথাব্যথা, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অনেকেরই বেড়েছে। এক বার যন্ত্রণা শুরু হলে মনে হয় চারপাশটা যেন দুলছে। চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। একটু আলো চোখে পড়লেই মাথা যেন ছিঁড়ে যায়, গা গোলাতে থাকে। কানে কোনও শব্দ নেওয়াই যায় না। ব্যথা কমাতে একগাদা ওষুধ না খেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়
মাথা যন্ত্রণার সময়ে উগ্র কোনও গন্ধ সহ্য করা যায় না। এতে অনেকেরই ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়। আবার, এমন কিছু প্রাকৃতিক গন্ধ আছে যা শুঁকলে, প্রদাহজনিত কষ্ট কমে। স্নায়ুর আরাম হয়। পোশাকি ভাষায় এই চিকিৎসাকে সুগন্ধি চিকিৎসা বা অ্যারোমাথেরাপি বলে। জলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে মাখলে আরাম পেতে পারেন।
আরও পড়ুন:
মাথাব্যথার সময়ে প্রদাহ কমাতে দারুণ কাজ করে ঠান্ডা সেঁক। পরিষ্কার সুতির কাপড়ে বরফ জড়িয়ে নিতে পারেন। কিংবা সেঁক দেওয়ার জেল ভর্তি পাউচ থাকলেও চলবে। তা দিয়ে মাথা ও ঘাড়ের চারপাশে সেঁক দিন, ব্যথা কমে যাবে।
ব্যথা তীব্র হলে আদা, দারচিনি, লবঙ্গ ও মধু দিয়ে চা খান। সবক’টি উপকরণের প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে যা যন্ত্রণা কমাতে সহায়ক হবে।
ব্যথা কমাতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুমের সময়ে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না। ঘুমের অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে টিভি দেখা বা ল্যাপটপ দেখা বন্ধ করতে হবে। ঘুমোনোর আগে অন্তত মিনিট দশেক মেডিটেশন বা প্রাণায়াম করে নিতে পারলে ভাল হয়। এতে ঘুমের সমস্যাও মিটবে, মাথাব্যথাও সেরে যাবে।
নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল মিশিয়ে কপালে ও ঘাড়ে মাখলে ব্যথা উপশম হতে পারে।