ল্যাপটপ নিয়ে যেতে অফিস যেতে হয়। অনেক সময় সফর করতেও হয় ল্যাপটপ নিয়েই। কিন্তু পিঠে ব্যাকপ্যাক থাকলে কি কখনও কখনও পোশাকের সঙ্গে বেমানান লাগে? মনে হয় ঢাউস ব্যাকপ্যাকের চেয়ে হাল ফ্যাশনের এক ফিতের ল্যাপটপ ব্যাগ অনেক কেতাদুরস্ত?
একটি ফিতে দেওয়া ব্যাগ ভার বহনের ক্ষেত্রে কাঁধের জন্য কতটা ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
ব্যাগের দুনিয়ায় ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়েছে একটি ফিতে দেওয়া ল্যাপটপ ব্যাগ বা স্লিং ব্যাগ। বিভিন্ন রকম পোশাকের সঙ্গেই বেশ কায়দা করে নেওয়া যায় সেটি। মানানসইও হয়। সেই তুলনায় কালো রঙের আকারে বেশ বড়সড় ব্যাকপ্যাক মোটেই সব ধরনের সাজগোজের সঙ্গে মানায় না। তাই কি ব্যাকপ্যাকের বদলে এক ফিতের ব্যাগ বেছে নিতে চাইছেন? তবে দেখতে ভাল বলেই কি তা কাঁধের জন্যও ভাল?
আরও পড়ুন:
একটি ফিতে লাগানো ব্যাগ বইতে হয় যে কোনও একদিকের কাঁধে। হাড়ের রোগের চিকিৎসক যুগল কারখুরের মতে, এতে একটি কাঁধের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। অসমান চাপের ফলে হাড়ে ব্যথা হতে পারে। নিয়মিত এমন ভাবে ব্যাগ নিলে এবং তা ভারী থাকলে কাঁধেও ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আর এক চিকিৎসক অখিল যাদবের মত, ভারী জিনিসপত্র নিয়মিত বইতে হলে দু’টি ফিতের ব্যাকপ্যাকই ভাল। এতে দুই কাঁধে ব্যাগের ভার সমান ভাবে পড়ে। হাঁটাহাটির ক্ষেত্রেও এটি সঠিক ভঙ্গিমা।
কেতাদুরস্ত হলেও জিনিসপত্র রাখার ক্ষেত্রেও ব্যাকপ্যাক এমন ব্যাগকে টেক্কা দিতে পারে। ল্যাপটপের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক অনেক জিনিস থাকলে ব্যাকপ্যাকই ভাল। এটি আকারে বড়, জিনিসপত্র বেশি ধরে এবং মজবুতও। একটি ফিতের ব্যাগ দেখতে সুন্দর, কেতাদুরস্ত। তবে হালকা জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্যই এটি সুবিধাজনক। অবশ্য চামড়ার শক্তপোক্ত ল্যাপটপ ব্যাগ হলে বিষয়টি আলাদা। এতে অনেক জিনিস ধরে। এবং একটি ফিতের হলেও চট করে ছিঁড়ে যায় না। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাগ বেশি ভারী হলে এক দিকের কাঁধে বেশি চাপ পড়তে পারে।