চা, কফির বদলে অনেকেই এখন সকালে মাচায় চুমুক দিয়ে দিন শুরু করছেন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই চা দিয়ে দিন শুরু করা নাকি বেশ স্বাস্থ্যকর। এখন বিভিন্ন ক্যাফেতে গিয়ে বাহারি কফি নয়, বদলে বাহারি মাচা চা অর্ডার করছেন তরুণীরা। সম্প্রতি অভিনেতা রণবীর কপূর বলেছেন, তিনিও এখন মাচার প্রেমে পড়েছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেনছেন স্ত্রী আলিয়ার কারণেই নাকি তিনি মাচা খেতে শুরু করেছিলেন, আর এখন মাচা ছাড়া তাঁর দিন চলে না। রণবীর বলেন, ‘‘আলিয়ার পাল্লায় পড়ে আমি এখন পুরোপুরি মাচা-নির্ভর হয়ে পড়েছি। অনেকেই মাচা খেতে ভীষণ পছন্দ করেন, আবার অনেকেই মাচা একেবারেই খান না। আমার কিন্তু বেশ লাগে। সকালে যেটুকু ক্যাফিনের প্রয়োজন হয়, তা মেটাতে আমি আমন্ড মিল্ক আর দুধ দিয়ে তৈরি একটা দারুণ মাচা ড্রিঙ্ক খাই।’’
সাধারণ চা, কফির তুলনায় মাচায় কিন্তু ক্যাফিনের মাত্রা কম থাকে। এই চা খেলে অ্যাসিডিটির ঝুঁকিও কম। গবেষণা বলছে, জাপানের এই চায়ে ক্যাটেসিন নামের এক ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এই ফ্ল্যাভনয়েড আদতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের খনি। আবার প্রদাহনাশকও বটে। অতিরিক্ত প্রদাহ থেকে ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে। আর শরীরের বহু রোগ সামলাতে কার্যকরী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। সেই কারণেই মাচাকে চায়ের দুনিয়ায় সবচেয়ে উঁচু মানের চা মনে করা হয়। শারীরিক উপকারিতার বাইরে নিয়মিত মাচা খাওয়ার মানসিক উপকারিতাও রয়েছে। এ ছাড়া এই চা ত্বকের জন্যও বেশ ভাল। সম্ভবত সেই জন্যই এই চায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে নয়া প্রজন্মের কাছে এবং শৌখিনীদের দুনিয়াতেও।
রণবীর মাচার সঙ্গে আমন্ড মিল্ক আর গুড় মিশিয়ে খান। এতে কি মাচার গুণাগুণ আরও বেড়ে যায়?
আমন্ড মিল্কে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর ভিটামিন ই-এর মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। অন্য দিকে গুড় পটাশিয়াম আর আয়রনের ভাল উৎস। তাই মাচার সঙ্গে এই উপকরণগুলি মেশালে সেই পানীয়ের স্বাস্থ্যগুণ সামান্য বাড়ে, তবে পুরো বিষয়টিই নির্ভর করে কতটা স্বাস্থ্যকর উপায়ে পানীয়টি তৈরি করা হয়েছে তার উপর।