কোন শরবত ডায়াবেটিকদের জন্য দাওয়াই হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে অফিসে বেরোনোর তাড়াহুড়োয় অনেকেই না খেয়ে চলে যান। কেউ আবার পেট ভরাতে ইনস্ট্যান্ট নুডল কিংবা পাস্তার উপরেই ভরসা রাখেন। শরীরের আনাচকানাচে মেদ জমার জন্য এই দুই অভ্যাস কিন্তু যথেষ্ট। অথচ তা়ড়াহুড়োর মাঝে এক গ্লাস ছাতুর শরবত খেয়ে নিলেই কিন্তু হতে পারে মুশকিল আসান। ছাতুতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ভরপুর মাত্রায় থাকে। উপকারী খনিজও থাকে বেশ ভাল পরিমাণে। ১০০ গ্রাম ছাতুতে থাকে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম প্রোটিন। গরমে জলখাবারের জন্য ছাতু কিন্তু ভাল। কেন রোজকার ডায়েটে ছাতু রাখবেন, রইল হদিস।
১) কোলেস্টেরল কমায়: কোলেস্টেরলের রোগীদের অনেক কিছু খাওয়া মানা। তবে তাঁরাও কিন্তু নিশ্চিন্তে ছাতু খেতে পারেন। ফাইবারের কারণেই ছাতু কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
২) হজমের জন্য ভাল: এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় গরমের সময়ে ছাতুর শরবত হজমের সমস্যাও দূর করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের অন্য নানা সমস্যার সমাধান আছে ছাতুতেই।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়: ছাতুতে প্রচুর উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আছে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান খুব বেশি হয় না। নিয়মিত ছাতু খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবিটিসের রোগীরা সকালের জলখাবারে ছাতু খেতে পারেন।
৪) চটজলদি শক্তি যোগায়: অফিসে কাজের মাঝেই হোক কিংবা বাড়িতে, খিদে পেলে শরীর যেন ঝিমিয়ে পড়ে। তখন ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। খিদে পেলে এক গ্লাস ছাতুর শরবত কিংবা ছাতু মাখা খেতে পারেন। চটজলদি শরীর চাঙ্গা হবে, অনেক ক্ষণ পেট ভরাটও থাকবে আর ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছেও কমবে।
৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: ওজন ঝরানোর চেষ্টায় থাকলে রোজের ডায়েটে ছাতু রাখতেই পারেন। ছাতুতে ফাইবার থাকে, ফলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে। তাই ভাজাভুজি কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে সহজেই দূরে থাকা যায়।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy