সম্প্রতি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ‘ফাইবার’ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, ফাইবারে পরিপূর্ণ ডায়েট পরিপাকতন্ত্রকে ভাল রাখার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। নজরে রয়েছে ‘ফাইবারম্যাক্সিং’।
‘ফাইবারম্যাক্সিং’ কী?
ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতি এবং বয়স আন্দাজে দৈনিক ডায়েটের ক্যালোরি নির্ধারিত হয়। সেখানে ফাইবারের পরিমাণ সর্বাধিক করার প্রবণতাকেই ‘ফাইবারম্যাক্সিং’ বলা হয়। অর্থাৎ দৈনন্দিন বেশি পরিমাণে ফাইবার খাওয়া। এক জন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩৮ গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত।
ফাইবারের প্রকারভেদ
মূলত দু’ধরনের ফাইবার হয়। দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয়। ফাইবার দ্রবণীয় হলে তা হজম প্রক্রিয়ার গতি ধীর করে। অন্য দিকে, অদ্রবণীয় ফাইবার হজম প্রক্রিয়ার গতি বাড়ায়। পুষ্টিবিদদের মতে, এই দুই ধরনের ফাইবারই যাতে দৈনন্দিন ডায়েটে থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।
আরও পড়ুন:
উপকারিতা
ফাইবার নানা ভাবে দেহের উপকা্রে আসে। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অনেক সময়েই তাঁর দৈনন্দিন ডায়েটে মাত্র ৫ শতাংশ ফাইবার খেয়ে থাকেন। তাই ফাইবারের পরিমাণ বাড়ানো উচিত। তার ফলে হজমের পাশাপাশি দেহে হরমোনের তারতম্য ঘটে না। পাশাপাশি, কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে ফাইবার।
কতটা নিরাপদ
ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকলে, তা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে পেটের অসুখের সময়, ফাইবার বেশি খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের ডায়েটের পরিকল্পনার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কী ভাবে শুরু করা যায়
ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়তে ধীরে পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ, হঠাৎ করে ফাইবারের পরিমাণ বাড়লে হজমের সমস্যা হতে পারে। ফাইবার বেশি খেলে, তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও পান করা উচিত।