Advertisement
E-Paper

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেয়েও রোগা হচ্ছেন না? সঠিক নিয়ম মেনে খাচ্ছেন কি?

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে জনপ্রিয় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। শরীরে কোলেস্টেরল ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই টনিকের জুড়ি মেলা ভার। সৌন্দর্য রক্ষার কাজেও লাগে এটি। কিন্তু ভিনিগারের অ্যাসিড-জাতীয় চরিত্রের কারণে তা দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:০৩
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা আছে?

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা আছে? ছবি: শাটারস্টক।

দুর্গাপুজোর জন্য পাঁচ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন? তবে পুজোর ক’দিন অনিয়মে ওজন আবার বেড়ে গিয়েছে। এ বার আবার লাগাম না টানলে মুশকিল! ওজন ঝরাতে এখন অনেকেই অ্যাপল সাইডার ভিনিগার-এর উপরেই ভরসা রাখেন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে জনপ্রিয় এই টনিক। শরীরে কোলেস্টেরল ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই টনিকের জুড়ি মেলা ভার। সৌন্দর্য রক্ষার কাজেও লাগে এটি। কিন্তু ভিনিগারের অ্যাসিড-জাতীয় চরিত্রের কারণে তা দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ছিপছিপে হওয়ার নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। তবে, এই উপাদানটি সরাসরি খাওয়া যায় না। পরিমিত পরিমাণে জলে মিশিয়ে খেতে হয়। এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যার সঙ্গে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে এই অ্যাসিড খেয়ে ফেললে আবার দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলেও সতর্ক থাকতে হবে। গলা-বুক জ্বালার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

দিনে কতটা মাত্রায় খেলে তা স্বাস্থ্যকর হবে?

দিনে ১৫ মিলিলিটার বা বড় চামচের এক চামচের বেশি অ্যাপল অ্যাপল সিডার ভিনিগার না খাওয়াই শ্রেয়। খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নয়। দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেলে এর অম্ল-গুণ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে।

কখন খাওয়া ভাল?

১) ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে এই পানীয় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যেতে পারে। এই পানীয় বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজম ভাল হয়। শরীরের মেদ দ্রুত ঝরাতে এই উপায়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

২) বদহজমের সমস্যা থাকলে সকালে খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া যেতে পারে। সকালে এই পানীয় খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হবে। তবে সকালে খালি পেটে এটি খেলে এর গন্ধে অনেকের বমি বমি ভাব হয়। সে ক্ষেত্রে জলখাবারের পরে খেতে পারেন এই পানীয়।

৩) ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রেও এই ভিনিগার উপকারী। মূলত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারা বা ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪) গলা ব্যথা কিংবা টনসিলের সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমনোর আগে এক কাপ গরম জলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। তবে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে রাতের বেলা এই পানীয় না খাওয়াই শ্রেয়।

Weight Loss Tips Weight Loss
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy