অফিসে সারা দিন বসে কাজ করতে করতে পেট, কোমরের মেদ বেড়ে চলেছে। ওজন কমার নামই নেই। এ দিকে নানা রকম ডায়েট করে দেখছেন লাভ কিছুই হচ্ছে না। কোলেস্টেরলের পারদ চড়ছে, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাপও বিপদসীমা ছুঁতে চলেছে। চিকিৎসক সতর্ক করে বলছেন, ওজন কমান। এ দিকে মেপে খেয়েও দেখছেন ওজন কমার নাম নেই। ভুলটা হচ্ছে খাওয়াদাওয়ার ধরনে। কম খেলেও এমন কিছু খাচ্ছেন, যা ওজন ও রক্তে কোলেস্টেরল দুইই বাড়িয়ে তুলছে। পুজোর সময়ে যদি ভালমন্দ খাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তা হলে কোলেস্টেরল কমানোর চেষ্টা করুন এখন থেকেই। তার জন্য রোজ যা যা খাচ্ছেন, সেখানেই আনতে হবে ছোট ছোট কিছু বদল।
রোজের খাবারে ছোট ছোট বদল আনুন, রইল বিকল্পের খোঁজ
পরিশোধিত শস্যের বিকল্প
আটা বা ময়দার রুটি, ভাত, পাস্তা, মিষ্টি, ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালের বদলে খান ওট্স, ডালিয়া, রাগি। জোয়ার, বাজরা বা রাগি দিয়ে রুটি বানিয়ে নিন। সাদা ভাতের বদলে পরিমাপ মতো খেতে পারেন ব্রাউন রাইস বা ডালিয়া। দানাশস্যে ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে যা ওজন কমাবে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
মিষ্টির বদলে তাজা ফল
চিনি দেওয়া মিষ্টি বা মিষ্টি দেওয়া পানীয়ের বদলে তাজা ফল রাখুন ডায়েটে। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে বদলে খেজুর, আখরোট, ড্রাই ফ্রুট্স খেতে পারেন। বাজারচলতি কার্বনযুক্ত পানীয়, রকমারি মকটেল খেতে ভাল হলেও তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। এর বদলে চুমুক দিতে পারেন ভেষজ চায়ে। চা পাতার ব্যবহার ছাড়াই আদা, তুলসী, পুদিনা-সহ রকমারি উপকরণে এই চা তৈরি করা যায়।
প্রক্রিয়াজাত মাংসের বদলে লিন মিট
যে কোনও রকম রেড মিট খাওয়া ছাড়তে হবে। সসেজ, বেকন, সালামির লোভ ত্যাগ করে টাটকা চিকেন, মাছ, ডিম খান। বাজারচলতি সসেজ যাতে দীর্ঘ দিন ভাল থাকে, সে জন্য নানা রকম রাসায়নিক দেওয়া হয়। প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক ব্যবহার হয় ‘ফ্রোজেন ফুড’-এ। এই ধরনের খাবারের বদলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি করে খেতে পারেন, যেমন পনির, ছানা, টোফু, নানা রকম ডাল, বিন্স, সয়াবিন ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:
চপ-কাটলেটের বদলে রোস্টেড খাবার
শিঙাড়া, জিলিপি, চপ-কাটলেটের বদলে ছোলা সেদ্ধ, রোস্টেড মাখানা, নানা ধরনের রোস্টেড বাদাম রাখুন ডায়েটে। প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে মাখানায়। যেহেতু মাখানায় ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, তাই হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে। এই মরসুমে ভাল ভুট্টা পাওয়া যায়। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উপস্থিতির ফলে এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় পড়ে। খেতেও স্বাদু।
চিনি দেওয়া ডেজার্টের বদলে দই
কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ়, আইসক্রিমের বদলে দই, পিনাট বাটার, ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। অতিরিক্ত চিনি ওজন বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ। রোজ খেলে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়বে অবধারিত ভাবেই।