ভাত, ডাল, রুটি, তরকারি— ভারতের নানা প্রদেশের দৈনন্দিন খাবার। ইদানীং স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অনেকে ভাত, রুটি ছেড়ে ওট্স, কিনোয়ায় মন দিয়েছেন। তা ছাড়া, যাঁদের ফিটনেস চর্চিত, এমন অনেক তারকাও ভাত, রুটির মতো খাবার খান না। এই সব খাবার মানেই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট। তবে সেই কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরেও পুষ্টির ভারসাম্য কেমন করে বজায় রাখা যায়, তারই পন্থা বলে দিলেন তমন্না ভাটিয়া এবং কঙ্গনা রনৌতের ফিটনেস প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ সিংহ।
অনেক তারকারই ফিটনেস সংক্রান্ত পরামর্শদাতা তিনি। সমাজমাধ্যমেও যথেষ্ট সক্রিয় থাকেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় কখন ভুল হয়ে যায়, সেটাই সম্প্রতি একটি রিলে দেখিয়েছেন সিদ্ধার্থ। একই সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন আলুর তরকারি না এড়িয়ে কী ভাবে মায়ের হাতের চিরকালীন রান্না খেয়েই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী থাকা যায়।
প্রথম যে জিনিসটি শুধরে নিতে বলেছেন তিনি, সেটি হল পরিমাপ। অনেকেই ভাল তরকারি পেলে কয়েকটি রুটি বেশি খেয়ে নেন। তবে সেই মাপটি ঠিক রাখতে হবে। গোটা দুয়েক রুটি বেশি খাওয়া যেতে পারে, তবে তার বেশি নয়। শেষ পাতে রাখতে হবে পুষ্টিকর কিছু।
আলু দেখলেই অনেকে এড়িয়ে যান। বিশেষত ওজন কমাতে হলে আলু বাদ দিতে চান অনেকে। তবে চিরকালীন আলুর তরকারিতে তেমন সমস্যা দেখছেন না সিদ্ধার্থ। বরং পরিবারের জন্য, সন্তানের জন্য মায়ের বানানো আলুর তরকারি-ই তিনি খেতে বলছেন। অবশ্যই এতে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, তবে তা ক্ষতিকর নয়।
তবে দৈনন্দিন পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখতে দু’টি উপকরণ জুড়তে বলছেন তিনি। তার মধ্যে একটি হল স্যালাড। রুটি বা ভাতের সঙ্গে স্যালাড খেতে বলছেন তিনি। কারণ, এতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ। রুটির সংখ্যা কমালে, খিদে মেটাতে স্যালাড খাওয়া ভাল। স্যালাড খাবার হজম করায়।
পাশাপাশি, প্রোটিনে জোর দিয়েছেন তিনি। তরকারিতে প্রোটিন না থাকলে খেতে বলছেন গ্রিক ইয়োগার্ট। এটি ব্যাগে নিয়ে যাওয়া সহজ, খেতে ভাল। তা ছাড়া, সিদ্ধার্থ জানাচ্ছেন, আধ কাপ ইয়োগার্টে প্রায় ২০ গ্রাম প্রোটিন মেলে।
বলিউড তারকাদের ফিটনেস প্রশিক্ষকের কথায়, খুব ছোট্ট বদলই খাবারে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ জুড়তে পারে। ভারতীয় খাবারে কার্বোহাইড্রেটের আধিক্য থাকা সত্ত্বেও পুষ্টিতে ভারসাম্য বজায় থাকে এতে।