এখন অনেককেই টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এক জায়গায় একটানা বসে থাকলে বিরক্তি আসে। একঘেয়েও লাগে। সে সব কাটাতে মাঝেমধ্যে মুখ চালালে মন্দ হয় না। সন্ধ্যাবেলা খিদে পেলেই রোল, মোমো, চাউমিনের কথা মনে পড়ে যায়। আর বাইরের এই সব ‘জাঙ্কফুড’ রোজ খাওয়া মানেই শরীরে হাজারটা রোগের চোখরাঙানি। বিকেলে খিদে পেলে কী খাওয়া ভাল? কী রাখা যায় সঙ্গে? স্বাদ ও স্বাস্থ্য দু’দিকই রক্ষা হবে কী ভাবে, তার হদিস দিলেন অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়ার ফিটনেস প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ সিংহ।
অফিসে সঙ্গে করে কিছু ড্রাই ফ্রুট আর বীজ যেমন কাঠবাদাম, খেজুর, তিসি, আখরোট, কুমড়োর বীজ নিয়ে যেতে পারেন। সন্ধ্যাবেলা খিদে পেলে গ্রিক ইয়োগোর্টের সঙ্গে সেই সব ড্রাই ফ্রুট আর বীজ মিশিয়ে খেয়ে নিন। এই খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন আর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ঢুকবে শরীরে। ফলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকবে, টুকিটাকি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
আপেল আর পিনাট বাটার— সন্ধ্যার খিদে মেটাতে এই খাবারটিও কিন্তু বেশ স্বাস্থ্যকর। এই খাবারের মাধ্যমে শরীরে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার আর পরিমিত মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট যায় শরীরে। জিমে যাওয়ার আগে এই খাবার খেলে শরীর চনমনে থাকে আর শরীরে শক্তিরও সঞ্চার হয়। অফিসের ব্যাগেও এই খাবার সঙ্গে রাখতে পারেন।
সন্ধ্যার খিদে মেটাতে ভরসা রাখতে পারেন প্রোটিন শেকের উপরেও। এখন বাজারে অনেক স্বাদের, অনেক সংস্থার প্রোটিন পাউডার পাওয়া যায়, তবে কেনার আগে গুণমান যাচায় করে নেবেন। অনলাইন বা জিম থেকেও অনেকে প্রোটিন পাউডার কিনে খান। সেগুলি কতটা খাঁটি, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই কোনটি খাবেন তা, পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না।