গবেষণায় উঠে এসেছে কম বয়সিদের রাত জাগার কারণে তাদের মধ্যে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। ছবি: শাটারস্টক।
সুস্বাস্থ্য পেতে চিকিৎসকরা রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমনোর পরামার্শ দেন। এই নিয়ম কিন্তু কেবল বড়দের জন্যই প্রযোজ্য নয়, কিশোর-কিশোরীদেরও কিন্তু এই নিয়ম মেনে চলার কথা বলে হয়।
সুইডেনের এক দল বিজ্ঞানী সমীক্ষা চালিয়ে দেখেন সে সব কিশোর-কিশোরীরা রাতে সাত ঘণ্টার কম ঘুমোন তাদের মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাকিদের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। এর জন্য দায়ী রাত জেগে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে আনগোনা।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি? প্রাথমিক ভাবে এই ধরনের সমস্যাগুলি অনেকেই গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি নার্ভের এক ধরনের জটিল রোগ। যে কোনও বয়সের মানুষের এই ধরনের রোগ হতে পারে। গবেষণায় উঠে এসেছে কম বয়সিদের রাত জাগার কারণে তাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষকদের মতে, জিনগত কারণেও মানুষের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এ ছাড়া, ধূমপান ও স্থূলতা কারণেও এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস একটি অটোইমিউন ডিজিজ়, এর ফলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের উপর প্রভাব পড়ে। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের ক্ষেত্রে সকলের আগে মায়েলিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মায়েলিন হচ্ছে মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ু ফাইবারকে সুরক্ষা প্রদানকারী আবরণ। মায়েলিন ছাড়া মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জু শরীরের অন্যান্য স্নায়ুর সঙ্গে সঠিক ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে না।
যদিও মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের উপসর্গগুলি এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম হয়, তবু সাধারণত যে উপসর্গগুলি অধিকাংশ এমএস আক্রান্তদের মধ্যেই দেখা যায়, সেগুলি হল।
১) দৃষ্টি শক্তির সমস্যা
২) হাত-পায়ে অসাড় ভাব
৩) অবসাদ ও দুশ্চিন্তা
৪) মাথা ব্যাথা
৫) মাথা ঘোরানো
৬) পেশিতে টান
৭) শ্বাসকষ্ট
৮) কিছু ভাবা বা চিন্তা করার ক্ষেত্রে সমস্যা
৯) কথা বলতে সমস্যা
১০) যৌন সমস্যা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy