কালীপুজোর পর থেকেই আবহাওয়া বদলের ইঙ্গিত টের পাওয়া যাচ্ছে। মরসুম বদলের এই সময়ে সর্দিকাশি, গলাব্যথার মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে প্রায় সব ঘরেই। ঘুম থেকে উঠে ঢোঁক গিলতে গেলেই কাঁটার মতো কী যেন গলায় বিঁধছে। সর্দি-কাশি সহজে সারছে না। গলায় ব্যথা বা অ্যালার্জির সমস্যা হলে কড়া অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে বরং প্রাথমিক ভাবে ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখলে ভাল হয়। এমন কিছু উপায় আছে, যাতে গলা ব্যথা তাড়াতাড়ি সেরে যেতে পারে।
গলার যে কোনও অংশেই ব্যথা হতে পারে। যেখানে ব্যথা হয় সেই স্থানের নাম অনুসারে রোগের নাম হয়। যদির গলার পাশে টনসিলে হয় তবে এই ব্যথাকে টনসিলাইটিস বলে। যদি গলার পিছন দিকে ফ্যারিঙ্গসে হয় তাহলে ফ্যারিঞ্জাইটিস বলে। আরও নীচে ল্যারিঙ্গসে ব্যথা হলে তাকে ল্যারিঞ্জাইটিস বলে। এগুলো সবই প্রদাহজনিত অসুখ।
আরও পড়ুন:
গলায় ব্যথা সারবে কী উপায়ে?
১) গলাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে দারুণ কার্যকরী মধু। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা গলা এবং শ্বাসনালিতে সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসকে ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম। সকালে ঈষদুষ্ণ জলে বা ভেষজ চায়ে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২) আদা দিয়ে চা খেলেও উপকার হবে। এক কাপ জলে আদা, দারচিনি ও ছোট এলাচ ফেলে ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। তার পর ছেঁকে এই চা খেতে হবে। দিনে ২ বার করে খেলেই গলা ব্যথায় অনেক আরাম হবে।
৩) এক-দুই ইঞ্চি আদা থেঁতো করে নিন। দুই থেকে তিন কাপ গরম জলের মধ্যে সেটি মিশিয়ে দিন। এ বার একটি পাতিলেবুর অর্ধেকটা কেটে সেই রস জলে মিশিয়ে দিন। তাতে মধু দিয়ে ৫ মিনিট টানা নাড়তে থাকুন। কিছু ক্ষণ রেখে ছেঁকে নিন। প্রতি দিন এই জল সকালে খেলে গলার অ্যালার্জি সেরে যাবে।
৪) গলাব্যথা বা কাশি থেকে মুক্তি পেতে লবঙ্গ দারুণ উপকারী। একটি লবঙ্গ নিয়ে তাতে ভাল করে সৈন্ধব লবণ লাগিয়ে মুখে রাখুন। গলাব্যথা, গলা খুসখুস, কাশির সমস্যার ভাল দাওয়াই লবঙ্গ।