Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Heart Attack Signs

শরীরে কোন ৫ উপসর্গ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

৫ রকম সমস্যা দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে কার্ডিয়োলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

Symbolic image of heart attack

অনেক সময় হৃদ্‌রোগের উপসর্গকে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করা হয়। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৭
Share: Save:

হৃদ্‌যন্ত্রের মেজাজমর্জি বোঝা কঠিন। সারা দিনের দৌড়ঝাঁপ, সংসারের ভারী কাজকর্ম, অফিসের মিটিং থেকে শুরু করে বন্ধুদের সঙ্গে টুকটাক আড্ডা— কোন পরিস্থিতে যে শরীরে হৃদ্‌রোগ হানা দেবে, তা বলা কঠিন। প্রতি দিনের জগতে কোথাও কোনও গরমিল নেই। হঠাৎই এক দিন বুকে চিনচিনে ব্যথা দিয়ে শুরু। কিংবা শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ থেকে হার্ট অ্যাটাকের কবলে ঢলে পড়া। হৃদ্‌রোগের লক্ষণ কিন্তু বোঝা সহজ নয়। অনেক সময়ে হৃদ্‌রোগের উপসর্গকে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করে দিই। চিকিৎসকের কাছে পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়, ফলে মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, হৃদ্‌রোগের ক্ষেত্রে মূলত ৫ রকম সমস্য দেখা দিলেই সময় অপচয় না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

ব্যথা: হাঁটাচলার সময়ে বুকে কোনও রকমের চাপ বা অস্বস্তি হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখুন। অনেকের ক্ষেত্রে বুকে চিনচিনে ব্যথা থেকে জ্বালাও হয়। তেমনটা হলেও তাই সাবধান হতে হবে। হার্ট দুর্বল হলে ব্যথা কেবল হৃদ্‌যন্ত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে না। হাঁটাহাঁটির সময়ে চোয়াল বা হাতেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণত হাঁটাচলা করলে এই ব্যথা জানান দেয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে বিশ্রামের সময়েও ব্যথা টের পাওয়া যায়।

শ্বাসকষ্ট: হঠাৎ যদি শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, বুকের ভিতর অস্বস্তি হয়, মনের মধ্যে অজানা কারণে ভয় শুরু হয় সেই লক্ষণ কিন্তু মোটেও ভাল নয়। হৃদ্স্পন্দনের হার হঠাৎ বেড়ে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হন। এটি কিন্তু হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হওয়ার লক্ষণ। কোনও কারণ ছাড়াই হৃদ্‌স্পন্দনের হার বেড়ে গেলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Symbolic image of  doing Cholesterol

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে নিয়মিত কার্ডিয়োলজিস্টদের পরামর্শ নিতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।

উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল: শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ধমনী ও রক্তবাহী নালিকাগুলিতে মেদ জমে। ফলে হৃদ্‌যন্ত্রে রক্ত পৌঁছতে বাধা পায়। ফলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে নিয়মিত কার্ডিয়োলজিস্টদের পরামর্শ নিতে হবে।

ক্রনিক অসুখ: ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যাগুলি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলির জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছা মতো ওষুধ খান। মনে রাখা দরকার যে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। এই সব রোগ থাকলে রোগীর বছরে অন্তত এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হৃদ‌্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ধূমপান: ধূমপান করলে কেবল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে এমনটা নয়, এই অভ্যাস ডেকে আনে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও। তাই এই অভ্যাস থাকলে বছরে এক বার অন্তত হার্টের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হৃদ্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। ধূমপানের পর পর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সতর্ক হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Heart Attack Heart Attack Risk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE