Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Surgery

হাঁটুর ব্যথায় নাজেহাল? প্রতিস্থাপনের আগে কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখতেই হবে

জন্মগত কারণে কারও হাঁটুতে কোনও সমস্যা থাকলে, চোট লাগলে, আর্থ্রাইটিস বা কার্টিলেজে আঘাত লাগলেও হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। সমাধান কোন পথে?

হাঁটু প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে আপনার বয়স কত সে বিষয়টি ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়।

হাঁটু প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে আপনার বয়স কত সে বিষয়টি ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:২৭
Share: Save:

হাঁটুর ব্যথা এখন প্রতিটি ঘরের সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতোই এই রোগও জাঁকিয়ে বসেছে ঘরে ঘরে। মধ্য চল্লিশেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন হাঁটুর ব্যথায়। ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। বয়সের সঙ্গে হাড়ের ক্ষয়ও বাড়তে থাকে। তবে একেবারে অল্প বয়সে হাঁটুতে ব্যথা হওয়ার সাধারণত কোনও কারণ নেই।

জন্মগত কারণে কারও হাঁটুতে কোনও সমস্যা থাকলে, কোনও সংক্রমণ হলে, চোট লাগলে, কার্টিলেজে আঘাত লাগলেও হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিউমরের কারণেও হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। ৪০-এর পরেই আর্থ্রাইটিস বাসা বাঁধে শরীরে। বিশেষত মহিলারাই সমস্যায় বেশি ভোগেন। অনেক ধরনের আর্থ্রাইটিস হলেও মূলত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিয়ো আর্থ্রাইটিসেই বেশি ভোগেন তাঁরা।

৪০-এর পরেই আর্থ্রাইটিস বাসা বাঁধে শরীরে।

৪০-এর পরেই আর্থ্রাইটিস বাসা বাঁধে শরীরে। ছবি: সংগৃহীত

কখন বুঝবেন হাঁটু প্রতিস্থাপন করাতে হবে?

কোনও রকম মেডিক্যাল বা নন-ইন্টারভেনশনাল থেরাপির পরেও ব্যথা যদি প্রশমিত না হয়, তখন অস্ত্রোপচারের কথা ভাবা যেতে পারে। অর্থাৎ ইঞ্জেকশন, স্টেরয়েড কোনও কিছুতেই ব্যথা না কমলে হাঁটু প্রতিস্থাপনের কথা ভাবতে পারেন। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা, পায়ের পাতা ঠিক করে ফেলতে না পারা— এই ধরনের উপসর্গ বাড়তে থাকলেও প্রতিস্থাপনের কথা ভাবতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে আর কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে?

১) অস্ত্রোপচারের আগে আপনার ডায়াবিটিস এবং ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

২) আগে ৬০ বছর হয়ে গেলেই হাঁটু প্রতিস্থাপনের কথা ভাবতেন চিকিৎসকরা। তবে সময় বদলেছে তার পাশাপাশি চিকিৎসা শাস্ত্রও অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। তাই এই ধরনের অস্ত্রপচারের ক্ষেত্রে আপনার বয়স কত সে বিষয়টি ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়।

৩) এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক বাছাইয়ের কাজটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভাল করে যাচাই করে তবেই অস্ত্রোপচার করান।

সংক্রমণ যাতে কোনও ভাবে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখুন। কারও সর্দি-কাশি হলে, সে ধরনের ব্যক্তির কাছাকাছি না থাকা ভাল। ড্রেসিং, বরফ ঘষা, প্যাড দেওয়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামও জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রথমে ওয়াকার নিয়ে, পরে লাঠি নিয়ে হাঁটতে হবে। রোগীকে সচল থাকতে হবে। ধীরে ধীরে পেশি শক্তি বাড়াতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Surgery Knee Replacements
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE