(বাঁ দিকে) ওজন কমানোর আগে এবং (ডান দিকে) ওজন কমানোর পরে ভূমি পেডনেকর। ছবি: সংগৃহীত
‘দম লগাকে হেইসা’ ছবির জন্য প্রায় ৩০ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছিল অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকরকে। মাস ছয়েকের মধ্যে ৫৭ কেজি থেকে ওজন বাড়িয়ে ৮৯ কেজি করে ফেলা সহজ ছিল না। তার চেয়েও কঠিন ছিল আবার আগের চেহারায় ফেরার যাত্রাপথ। তবে চাইলেই সকলে ভূমির মতো দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন না। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মহিলাদের নানা ভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হয়। নিজের চেহারা নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন অনেকেই। তবে ভূমি বলছেন, নিজের চেহারা নিয়ে অপরাধবোধে ভোগার কোনও কারণ নেই। একটি সাক্ষাৎকারে ভূমি বলেন, “আমিও ৩০ কেজি ওজন বাড়িয়ে আবার ৩৫ কেজি ওজন ঝরিয়েছি। তবে কিছু না খেয়ে বা উপোস করে নয়।” ভূমির মতে, শুধু শরীরচর্চা বা ডায়েট করে কিন্তু তাড়াতাড়ি রোগা হওয়া যায় না। সঙ্গে মেনে চলতে হয় আরও কিছু নিয়ম।
নিজের চেহারা নিয়ে খুশি থাকা
‘দম লাগাকে হেইসা’ ছবিতে অভিনয় করার পর ভূমিকে কোনও ভাবেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি। বরং এই চেহারা নিয়ে অভিনয় করার জন্য ছবিটি বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। তাই এ ক্ষেত্রে ভূমির টোটকা হল, “নিজের চেহারা নিয়ে কখনও নিজের মনে যেন কোনও খারাপ লাগা না থাকে।”
প্রয়োজনে ওজন ঝরান
সমাজ কী বলল সেই কথায় কান দিয়ে ওজন ঝরাতে যাবেন না। নিজের প্রয়োজনে ওজন কমান। নিজেকে ভাল রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা করুন। ভূমির মতে, “স্থূল অভিনেত্রীরা এই জগতে খুব একটা কাজ পান না। তাঁদের কথা ভেবে তেমন চরিত্র খুব কমই তৈরি হয়। আমি যেমন, তেমন ভাবেই যদি চরিত্র লেখা হয়, সেই ভাবে নিজেকে তৈরি করে নিতে আমার কোনও সমস্যা নেই।”
সুস্থ থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ
রোগা না মোটা, তা দিয়ে সুস্থতা মাপা যায় না। ওজন ঝরিয়ে এমন রোগা হলেন, যে নানা রকম অসুস্থতা আপনাকে পেয়ে বসল। তাতে তো কিছুই লাভ হবে না। সমাজের বেঁধে দেওয়া মাপে নিজেকে না আটকে সামগ্রিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেত্রী।
ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ
না খেয়ে রোগা হওয়া যায় না। ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের পরিমাণ এবং সময় ভাগ করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সঙ্গে ফল এবং প্রোটিন রাখতে হবে খাবার তালিকায়।
শরীরচর্চা
যে ধরনের শরীরচর্চা করুন না কেন, তা ভালবেসে করতে হবে। শরীরচর্চার বিষয়ে এই হল ভূমির মন্ত্র। ভূমি নিজে নিয়মিত জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবার পুরনো চেহারায় ফিরে যেতে তাঁকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy