ব্রেন স্ট্রোকের পরে শরীরের অসাড়তা বেড়ে যায়। কারও শরীরের এক দিক অসাড় হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে নানা রকম ফিজিয়োথেরাপি করে রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। এ ক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে একটি বিশেষ আসন। রোজ অভ্যাস করলে শরীরের ভারসাম্য বাড়বে, অসাড়তা কাটবে, পেশির সক্রিয়তাও বৃদ্ধি পাবে। তা ছাড়া যাঁরা কুঁজো হয়ে হাঁটেন বা বসেন, তাঁদের শরীরের ভঙ্গিমা ঠিক করতেও আসনটি উপকারী হতে পারে।
আকর্ণ ধনুরাসনের অর্থ ধনুকের মতো ভঙ্গিমা। তীরন্দাজ ধুক থেকে তীর ছোড়ার সময়ে যেমন ভঙ্গি করেন, অনেকটা সেই রকম।
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপর সোজা হয়ে বসুন। দুই পা সামনের দিকে প্রসারিত করুন।
২) এ বার বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুল ধরে পায়ের পাতা কানের কাছে টেনে আনুন। ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল টেনে ধরুন। ডান পা টানটান থাকবে।
৩) দৃষ্টি সামনের দিকে স্থির থাকবে, যেন কোনও লক্ষ্য স্থির করছেন।
৪) শ্বাস নিতে নিতে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের পাতা আরও কিছুটা তুলে ধরুন। ডান হাঁটু ভাঙলে কিন্তু চলবে না। শরীরের ভঙ্গিমা এমন হবে, যেন মনে হয়, আপনি ধনুকের ছিলায় টান দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
৫) ঘাড় সামান্য পিছনের দিকে হেলানো থাকবে, যাতে গলার শিরায় টান পড়ে। এ বারে আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ছিলায় জোরে টান দেওয়ার মতো ভঙ্গি করুন। এতে ঘাড়, কাঁধ ও হাতের পেশিতে টান পড়বে। চাপ পড়বে পায়েও। এতে পেশির জোর বাড়বে।
৬) দুই হাতে একই ভাবে তিন সেট করে ৫ বার অভ্যাস করুন।
উপকারিতা:
১) শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকবে, হাঁটাচলার সময়ে পড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
২) হাত, কাঁধ ও ঘাড়ের পেশির ব্যায়াম হবে। পেশির জোর বাড়বে।
৩) পায়ের পেশিরও ব্যায়ামও হবে।
৩) শরীরের অসাড়তা দূর হবে, ক্লান্তি ভাব কাটবে।
৪) হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে।
কারা করবেন না?
হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে, এমন ব্যক্তিরা আসনটি করতে যাবেন না।
হাঁটু, নিতম্ব বা শরীরের নিম্নাংশে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।