পেটের মেদ কিছুতেই ঝরতে চাইছে না? পুজোর আগে ওজন কমাবেন বলে মিষ্টি, ভাজাভুজি না খেয়ে দিনের পর দিন কাটিয়ে ফেললেন, একটু আধটু শরীরচর্চাও শুরু করেছেন হয়তো বা। তার পরেও কোমরে আঁটছে না পুরনো জিন্স। কিছুতেই কমছে না ভুঁড়ি? তবে বুঝতে হবে পছন্দের চেহারা পেতে আর একটু যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। দিল্লির এমস এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্যাসট্রোএন্টেরোলজিস্ট সৌরভ শেঠি বলছেন, অনেক সময়েই পেটের মেদ না ঝরার কারণ হতে পারে অন্ত্রের স্বাস্থ্য। তাই আগে সে দিকে মন দিতে হবে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন কী ভাবে?
আরও পড়ুন:
১। রাতের খাবার আগে খান, হালকা খান
সৌরভ বলছেন, হজম ভাল হলে তবেই পেটের মেদ কমবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাতে ভাত-রুটি জাতীয় ভারী খাবার খাওয়া হয়। আর তা-ও অধিকাংশ পরিবারেই খাওয়া হয় রাত দশটা নাগাদ। যার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘুমোনোর তোড়জোড় শুরু হয়। পুরোপুরি বিশ্রামে চলে যায় শরীর। ফলে হজমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ব্যাহত হয় বিপাকের প্রক্রিয়াও। যা মেদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তবে কী করবেন? চিকিৎসক বলছেন, সন্ধে ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে স্যুপ, স্যালাড জাতীয় খাবার খেয়ে নৈশভোজ সেরে ফেলুন। যাতে ঘুমোনোর আগে অন্তত ঘণ্টা চারেক হজমের সময় পাওয়া যায়।
২। সারা দিন ঈষদুষ্ণ জলে চুমুক দিন
গরম জল হজমে সাহায্য করে। অন্য দিকে ঠান্ডা জল হজমের প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। হজমের প্রক্রিয়া ভাল হলে তা বিপাকের হারও ঠিক রাখে। আর বিপাকের হার ঠিক থাকলে তা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে।
৩। কিছু বিশেষ মশলা ও ভেষজ রাখুন খাবারে
এমন কিছু মশলা নিয়মিত খান, যা শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখে। যেমন আদা, গোলমরিচ, হলুদ, দারচিনি ইত্যাদি। এ ছাড়া কিছু মশলা এবং ভেষজ শরীরকে টক্সিন-মুক্ত করতেও সাহায্য করে, যেমন ত্রিফলা অর্থাৎ আমলকি, হরিতকি, বয়রা শরীরকে দূষণমুক্ত করে। এ ছাড়া মেথি এবং জিরেও এ কাজে সাহায্য করে।