একটা সময়ে রাত জেগে পড়াশোনা করার অভ্যাস ছিল। তখন সঙ্গে এক ফ্লাস্ক চা নিয়ে বসতেন। একটানা পড়ার মাঝে একঘেয়েমি কাটাতে, একটু তরতাজা হয়ে উঠতে চা বা কফিতে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। প্রচলিত ধারণা বলছে, চা খেলে ঘুম চলে যায়। অর্থাৎ, ঘুম ঘুম ভাব বা ঝিমুনি কাটাতে সাহায্য করে এই গরম পানীয়। কিন্তু সারা দিন পর বিছানায় শুয়েও যদি দু’চোখের পাতা এক করতে না পারেন, মন শান্ত না হয় তখনও যে এই চা-ই ঘুম পাড়ানি ওষুধের মতো কাজ করবে এমন ধারণা হয়তো অনেকেরই নেই। তবে যে কোনও চা খেলেই যে ঘুম আসবে, এমনটা কিন্তু নয়। মনমেজাজও বিগড়ে যাচ্ছে। অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের ক্ষেত্রে অনিদ্রা আরও ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতেই পারে। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশির ভাগ চিকিৎসকই হালকা ডোজ়ের সেডেটিভ বা ঘুমের ওষুধ দিয়ে থাকেন। তবে ওষুধের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তা কারও অজানা নয়। তাই ওষুধের পরিমাণ কমিয়ে যদি কিছু ভেষজ চা ঘুমের ব্যবস্থা করে দিতে পারে, তবে মন্দ হয় না।
কী ধরনের চা খেলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হতে পারে?
১) ক্যামোমাইল চা
অনিদ্রাজনিত সমস্যায় প্রাচীন কাল থেকেই ক্যামোমাইল চায়ের ব্যবহার হয়ে আসছে। উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে, প্রদাহ নাশ করতে ক্যামোমাইল চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে এক কাপ চায়ে চুমুক দিলেই ঘুম নেমে আসবে চোখে।
২) অশ্বগন্ধা চা
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অশ্বগন্ধা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ। স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করতে, মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে এই চা।
৩) ব্রাহ্মী চা
‘ব্রেন টনিক’ হিসাবে ব্যবহার করা হয় ব্রাহ্মী পাতার রস। ক্ষুরধার বুদ্ধি, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখার মতো এমন অনেক গুণের অধিকারী হতে পারেন নিয়মিত ব্রাহ্মীর চা খেলে। পাশাপাশি, ব্রাহ্মী শাকের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সেডেটিভ। তাই অনিদ্রাজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই চা।