বিরিয়ানি-চাঁপ খেয়েও কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বাড়তি ওজনের জন্য মাসখানেক ধরে ডায়েট শুরু করেছেন। তাই বলে কি কখনও ভালমন্দ খেতে নেই? পুষ্টিবিদরাও বলেন, মাঝেমাঝে চিটমিল খাওয়াই যায়। আর চিট মিলের কথা ভাবলেই জিভে জল চলে আসে। নিয়মিত পরিমিত, পুষ্টিকর খাবার অনেকটা সময় ধরে খেতে খেতে স্বাদ বদল করতে ইচ্ছা হয় বইকি। কিন্তু বিরিয়ানি, লুচি-পাঁঠার মাংস, পিৎজ়া, বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন কি জীবন থেকে বাদ দেওয়া যায়? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডায়েট রুটিন চিট করে এগুলি খেতে হলে থাকতে হবে সতর্ক, খেতে হবে একটু বুদ্ধি করে। চিট মিলের সময়ে কোন কোন বিষয় মাথায় না রাখলে ওজন বেড়ে যাবে?
১) চিট মিল কিন্তু সকলের জন্য নয়। ওজন খুব বেশি হলে, কোনও দিন জিমে না গিয়ে থাকেন ও সত্যিই রোগা হওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে চিট মিলের কথা ভুলেই যান। অন্তত ডায়েট শুরু করার ৯০ দিনের মধ্যে কোনও রকম চিটমিল খেলে চলবে না।
২) চিট মিল খেতে হবে বুদ্ধি করে। হয় শরীরচর্চার আগে, নয়তো পরে খান। ওয়ার্কআউটের আগে খেলে গ্লাইকোজ়েন ফ্যাটে পরিণত হওয়া রুখে দেবে। পরে খেলে তা পেশির ক্ষয় মেটাতে সাহায্য করবে।
৩) চিট মিল খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিট মিল যত ছোট হবে, যত কম সময় ধরে খাবেন ক্ষতির পরিমাণও তত কম হবে। চিট মিল যেন কখনওই ৩০-৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে না খাওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখুন।
৪) নিজের ওজন বুঝে চিট মিল খান। আপনি যদি এমনিতে ছিপছিপে চেহারার হন, তা হলে প্রায়শই চিট করতে পারেন। বডি ফ্যাটের পরিমাণ যত বেশি হবে, চিট করার অনুমতিও তত কম। তবে চেহারা স্থূল হলে চিট মিলের কথা ভুলেই যেতে হবে।
৫) চিট মিল খাওয়ার সময়ে ৮০:২০ নিয়ম মেনে চলুন। যে সময় ধরে চিট মিল খাচ্ছেন, তার ৮০ শতাংশ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান আর ২০ শতাংশ সময় নিজের পছন্দ অনুযায়ী খাবার খান। এই নিয়ম মেনে চললে ভাল কিছু খাওয়ার ইচ্ছা মিটবে আর শরীরের তেমন ক্ষতিও হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy