অফিসে শুধু ঢোকার অপেক্ষা। তার পর সময় কোথা দিয়ে বেরিয়ে যায়, খেয়াল থাকে না। খিদে পেলেও ওঠার সময়ই হয় না, ক্যান্টিনে গিয়ে গুছিয়ে বসে খাওয়া তো দূরের কথা। বেশির ভাগ বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের এ ভাবেই দিন কাটে। কিন্তু দিনের পর দিন না খেয়ে থাকলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হবে, তার সমাধান কী?
প্রোটিনে ভরপুর এই রোল ব্যস্ত সময়ে চট করে খেয়ে ফেলা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
খালি পেটে থাকলে হজম, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দেখা দেওয়া বিচিত্র নয়। পুষ্টির অভাব হলেও দুর্বল হয়ে পড়বে শরীর। এই পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান হতে পারে রোল। তেল চপচপে এগ রোল বা চিকেন রোল নয়, বরং কায়দা করে বানিয়ে নিন রুটি রোল।
ডিম ভুজিয়া রোল: তরকারি দিয়ে রুটি খেতে হলেও হাত লাগাতে হবে। তারপর হাত ধুয়ে তবে কাজে বসতে পারবেন। তার চেয়ে বরং ডিমের ভুজিয়া আর রুটি দিয়ে রোল বানিয়ে নিতে পারেন। রুটির বদলে অল্প তেল বা ঘিয়ে সেঁকা পরোটাও চলতে পারে। তেল গরম হলে ডিম ফেটিয়ে দিন। পেঁয়াজ, লঙ্কা, নুন যোগ করে খুন্তির সাহায্যে নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ডিমের ভুর্জি বা ভুজিয়া। রুটি বা পরোটার মধ্যে সেটি ভরে রোল করে নিন। স্বাদের জন্য সস্, চাট মশলাও যোগ করতে পারেন। রোল সাদা কাগজে মুড়ে ফেলুন। খিদের সময় কাগজ ছিঁড়ে খেয়ে নিলেই হল। সহজে কাজ করতে করতেই খেতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
পনির রোল: পনিরেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালশিয়াম। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে পনির দিয়ে বানিয়ে ফেলুন রোল। পনির ছোট টুকরো করে কেটে জল ঝরানো টক দই, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, নুন, ধনে-জিরে গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। পনির অল্প তেলে সেঁকে নিন। তার পর রুটিতে ভরে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি দিয়ে রোল করে নিন।
সব্জি এবং হুমাস রোল: হুমাস মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার। ঘন ক্রিমের মতো হুমাস তৈরি হয় সেদ্ধ করা কাবলি ছোলা, তাহিনি বা তিলের সস্, রসুন এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে। প্রোটিনে ভরপুর হুমাস রুটিতে লাগিয়ে, হালকা তেলে অল্প নেড়েচেড়ে নেওয়া সব্জি তাতে যোগ করুন। ছড়িয়ে দিন চাট মশলা। রুটি রোল করে নিন। এই রোল সকালের জলখাবার হোক বা অফিসে টিফিনের সময়— যখন ইচ্ছা খাওয়া যায়।