খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের কাছে ডায়েট করাটা সত্যিই মুশকিলের। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানো সহজ নয়। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। সবচেয়ে আগে রাশ টানতে হয় খাওয়াদাওয়ায়। কারণ কী খাচ্ছেন আর কতটা খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে ওজন হাতের মুঠোয় থাকবে কি না। তাই রোগা হওয়ার পর্বে ডায়েটে কী কী থাকছে, সেটাই আসল। কিন্তু খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের কাছে ডায়েট করাটা সত্যিই মুশকিলের। পছন্দের খাবার খাওয়া যায় না। ডায়েট মানেই তো শুধুই স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু স্বাদ আর স্বাস্থ্যের যদি যোগাযোগ ঘটাতে পারেন, তা হলে আর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে, আবার স্বাদেরও যত্ন নেবে, রইল এমন কয়েকটি খাবারের হদিস।
প্রোটিন স্মুদি
এটি তৈরি করতে আপনাকে নিতে হবে ২৫ গ্রাম মতো প্রোটিন পাউডার। তার সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ কলা অথবা বেরি। এক চা চামচ চিয়া বীজ এবং পিনাট বাটার। এই সব কয়েকটি উপাদান নিয়ে মিক্সিতে বানিয়ে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর প্রোটিন স্মুদি। খেতেও মন্দ না। আবার শরীরের পক্ষেও ভাল।
পোহা
চিড়ের পোলাওয়ের পোশাকি নাম মূলত পোহা। চিড়ের সঙ্গে অন্যান্য সব্জি, যেমন বিন্স, আলু, গাজর ইত্যাদি মিশিয়েই মূলত এই খাবারটি তৈরি করা হয়। ডায়েট করলে সকাল কিংবা বিকেলের সুস্বাদু জলখাবার হিসাবে খেতেই পারেন পোহা।
কর্ন চাট
বাড়িতে থাকা সুইট কর্ন দিয়েই বানাতে পারেন মশলাদার জলখাবার। সুস্বাদু তো বটেই। সেই সঙ্গে পুষ্টিকরও। ভুট্টাতে রয়েছে পটাশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন বি ৩ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। এতে থাকা ফাইবার শরীরের হজমশক্তিও বাড়ায়। আর ভুট্টা যেহেতু ওজন কমাতে সহায়তা করে, তাই এই জলখাবার খেলে ওজন বাড়ার ভয় নেই!
হামাস
পশ্চিম এশীয় খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম হামাস। কাবুলি ছোলা, তাহিনি (তিল থেকে তৈরি) দিয়ে তৈরি হামাস বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে। কয়েকটি উপকরণ এদিক ওদিক করলেই নানা স্বাদের হামাস তৈরি করে ফেলা সম্ভব। সাধারণত পিটা রুটি দিয়ে হামাস খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু আপনি চাইলে অনেক কিছু দিয়েই খেতে পারেন। অনেক ফলের সঙ্গে হামাস ভাল যায়। তেমনই বিকেলের দিকে যদি গাজর বা শসা খান তা-ও হামাস দিয়ে খেতে পারেন। রুটির মধ্যে হামাস লাগিয়ে তাতে কিছু পেঁয়াজ, শসা, টমেটো দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন স্বাস্থ্যকর রোলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy