ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাত, রুটির বদলে মিলেট খান অনেকেই। ছবি- সংগৃহীত
গুজরাত, রাজস্থান-সহ ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে জোয়ার, বাজরা, রাগী থেকে তৈরি খাবার খাওয়ার চল বেশি। এই জাতীয় দানাশস্য একসঙ্গে ‘মিলেট’ নামে পরিচিত। এখন মিলেট খাওয়ার চল শুরু হয়েছে বাঙালিদের মধ্যে। স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই ইদানীং ভাত-রুটির বদলে মিলেটজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করছেন। কারণ, এই জাতীয় খাবার খেলে শরীরে বাড়তি মেদ জমার প্রবণতা থাকে না। উন্নয়নশীল বহু দেশেই এই খাবার খাওয়ার চল রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, এই জাতীয় খাবারে গ্লুটেন থাকে না। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর এই খাবার রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ভাত বা রুটির বিকল্প হিসাবে মিলেট খাওয়া স্বাস্থ্যকর হলেও এই খাবার রান্না করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন কেউ কেউ। ভাতের মতো করে রান্না করবেন, না কি প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করবেন, বুঝতে পারা কঠিন হয়। চাল বা গম থেকে উৎপন্ন খাবার রান্না করতে সময় লাগলেও মিলেটের ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগাই স্বাভাবিক। তবে রান্নার সময়ে কয়েকটি টোটকা মাথায় রাখলেই পুরো পদ্ধতিটি সহজ হতে পারে।
১) পরিষ্কার করা
প্রথমে একটি পাত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী মিলেট নিয়ে কলের জলে ভাল করে ধুয়ে নিন। মিলেটের সঙ্গে নানা রকম অশুদ্ধি মিশে থাকতে পারে। তাই দু-তিন বার একই ভাবে জল দিয়ে মিলেটের দানা ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
২) ভিজিয়ে রাখা
এ বার ওই ধুয়ে নেওয়া মিলেটের বাটিতে আরও জল দিন। এই অবস্থায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে পারলে খুব ভাল। সে ক্ষেত্রে আগের রাত থেকে মিলেট ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। রান্নার সময় কমিয়ে আনার জন্য দানাশস্য ভিজিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
৩) রান্না করা
জোয়ার, বাজরা এবং রাগীর ক্ষেত্রে ‘কুকিং টাইম’ কিন্তু আলাদা। জোয়ার, বাজরা বা রাগী থেকে তৈরি আটা দিয়ে রুটি বানাতে গেলেও গরম জল দিয়ে আটা মেখে মণ্ড করে রাখতে পারলে ভাল হয়। ভাতের মতো বাজরা সেদ্ধ করতে গেলে রাত থেকে ভিজিয়ে রাখা এই শস্য প্রেশার কুকারে অন্তত ১৫টি সিটি দিতে হবে। জোয়ার এবং রাগীর ক্ষেত্রে সময়ের পরিমাণ একটু কম। এ ক্ষেত্রে ১২টি সিটি দিলেও মিলেট সেদ্ধ হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy