উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বিপদসীমা পেরোনোর আগেই রাশ টানা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন আর শুধু বার্ধক্যে সীমাবদ্ধ নেই। অল্প বয়সিদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে এই রোগ। বাইরের খাবারদাবারের প্রতি ঝোঁক এর একটা বড় কারণ। প্রতিনিয়ত তেলমশলা, ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাসে রক্তচাপের মাত্রা বাড়তে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বিপদসীমা পেরোনোর আগেই রাশ টানা জরুরি। এই রোগের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু জীবনযাপন করা অত্যন্ত জরুরি। খাওয়াদাওয়ায় বিধি-নিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। নিজেকে নিয়মে না বাঁধলে পরবর্তী কালে মুশকিলে পড়তে হতে পারে। সেই সঙ্গে ওষুধ আর চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ তো আছেই। তবে নিয়মের পথ ধরে হেঁটে নিজেকে সুস্থ রাখা ছাড়াও রক্তচাপের মাত্রা কমানোর আরও একটি উপায় রয়েছে। তা হল ঘরোয়া টোটকা। হেঁশেলেই এমন অনেক জিনিস থাকে, যেগুলি বেশ কিছু রোগের সঙ্গে সহজেই মোকাবিলা করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ তেমনই একটি রোগ। রক্তচাপের মাত্রা কমাতে ভরসা হতে পারে তিন পানীয়।
আমলকি এবং আদার শরবত
আমলকি এবং আদা দুই-ই উচ্চ রক্তচাপের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি, যা রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং রক্তচাপের মাত্রাও কমাতে সাহায্য করে। একই ভাবে আদাও রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমলকি এবং কয়েক টুকরো আদা একসঙ্গে মিক্সিতে ঘুরিয়ে শরবত বানিয়ে নিন। খালিপেটে নিয়ম করে খেলে উপকার পাবেন।
ধনেবীজের শরবত
ধনে শরীরে জমে থাকা বাড়তি সোডিয়াম এবং জল বাইরে বার করে দেয়। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য সোডিয়াম বিপজ্জনক। তবে ধনে বীজে থাকা কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান সোডিয়ামের মাত্রা বাড়তে দেয় না। তাই উচ্চ রক্তচাপ হলে তরকারিতে দিয়ে হোক কিংবা শরবত বানিয়ে, ধনে খাওয়া জরুরি। আগের দিন রাতে এক কাপ জলে ধনে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ছেঁকে নিয়ে এই জল খান। রক্তচাপের মাত্রা কয়েক দিনেই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বিট আর টোম্যাটোর শরবত
সব্জি হিসাবে দু’টিরই গুণ অনেক। ত্বকের যত্ন নেওয়া থেকে শরীরের দেখাশোনা— সবেতেই বিট আর টোম্যাটো সত্যিই উপকারী। রক্তচাপের মাত্রা কমাতেও এই দুইয়ের জুড়ি মেলা ভার। টোম্যাটোতে রয়েছে লাইকোপেন, বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন ই, যা অত্যন্ত কার্যকর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তাই টোম্যাটো খেলে সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোসলিক দু’ধরনের উচ্চ রক্তচাপ থেকেই দূরে থাকা যায়। একই ভাবে বিটের স্বাস্থ্যগুণ কম নয়। বিটে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্ত চলাচলও সচল রাখে।। বিট এবং টোম্যাটো একসঙ্গে রস করে খেতে পারলে সুফল মিলতে বাধ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy