তুলসীর নির্যাস শরীরে কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোন প্রায় ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। এমনই দাবি ২০২২ সালে ‘পাবমেড’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রের। আট সপ্তাহ ধরে ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। এতে শুধু কর্টিসলই নয়, ঘুমের মান এবং রক্তচাপেও উন্নতি লক্ষ করা গিয়েছে। ফলে তুলসীকে স্ট্রেস কমানোর প্রাকৃতিক হাতিয়ার হিসেবে ধরা হচ্ছে।
কর্টিসল কী?
কর্টিসল শরীরের স্ট্রেস হরমোন। ক্ষণস্থায়ী সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এই হরমোনের প্রয়োজন। কিন্তু দীর্ঘ দিন কর্টিসলের মাত্রা বেশি থাকলে দেখা দিতে পারে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ঘুমের সমস্যা।
এই গবেষণার জন্য অংশগ্রহণকারীর দু’ভাগে ভাগ করা হয়। একটি দলকে প্রতি দিন ১২৫ মিলিগ্রাম তুলসী নির্যাস দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দলকে তা দেওয়া হয়নি। আট সপ্তাহ পর দেখা যায়, যাঁরা তুলসী খেয়েছিলেন, তাঁদের কর্টিসলের মাত্রা প্রায় ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। পাশাপাশি, রক্তচাপ কমেছে এবং ঘুমের মান ভাল হয়েছে।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণাও প্রমাণ করল, তুলসী সত্যিই শরীর ও মনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
তুলসীর প্রভাব
আয়ুর্বেদে দীর্ঘ কাল ধরে নানা রোগ প্রতিরোধে তুলসী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ বার আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণাও প্রমাণ করল, তুলসী সত্যিই শরীর ও মনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
* তুলসীর পাতা দিয়ে রোজ চা তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
* তুলসীর কচি পাতা সরাসরি চিবিয়েও খাওয়া যায়।
* বাজারে লভ্য তুলসীর নির্যাসও খাওয়া যেতে পারে।
কোন কোন সতর্কতা মেনে চলবেন?
তুলসী শরীরের জন্য উপকারী হলেও কারও যদি দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থাকে বা নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, তবে তুলসী সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।