মাছ-মাংস খেলেই যে ভরপুর প্রোটিন, ভিটামিন পাওয়া যাবে তেমনটা নয়। নিরামিষ অনেক খাবারই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এখন প্রোটিন ডায়েট করার খুব চল হয়েছে। তাতে গা ভাসাচ্ছেন অনেকে। তা হল ভাত-রুটি বাদ দিয়ে শুধু মাছ, মাংস বা ডিম খাওয়া। অর্থাৎ, দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পাতে মাছ বা মাংস থাকবে কিন্তু ভাত, রুটি থাকবে না। আর এ ভাবে খেয়েই ওজন কম রাখা যাবে বলে বিশ্বাস। তবে পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, মাছ বা মাংস খেয়েই যে রোগা হওয়া যাবে তেমনটা নয়।নিরামিষ খেয়েও মেদ ঝরানো যায়।
এখনকার সময় স্বাস্থ্যের জন্যই নিরামিষ ডায়েটের দিকে ঝোঁক বাড়ছে মানুষজনের। এখন প্রোটিনের কথা বললেই মাছ-মাংস-ডিমের কথা মাথায় আসা স্বাভাবিক। কিন্তু যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের জন্য ডায়েট অন্য রকম হবে। এমন অনেক আনাজপাতি আছে, যা প্রোটিন, ভিটামিনে ভরপুর। নিয়ম করে খেলে শরীর পুষ্টি পাবে। হাড়ের গঠনও মজবুত হবে।
নিরামিষ খেলে কী কী রাখবেন ডায়েটে?
সয় প্রোটিন: সয় প্রোটিন খুবই উপকারী। সপ্তাহে এক দিন খেতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেক দিন বেশি পরিমাণে সয় প্রোটিন খাওয়া করা ঠিক নয়। এক কাপ সয়াবিনে ৮.৫ গ্রাম এবং আধ কাপ টোফুতে পাবেন ১০ গ্রাম প্রোটিন।
ডাল: আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই প্রায় রোজই ডাল রান্না হয়। আর সব রকম ডালেই প্রোটিন ভরপুর মাত্রায় থাকে। বিশেষ করে মুসুর ডালে প্রোটিনের মাত্রা যথেষ্ট বেশি। এ ছাড়াও মুগ, ছোলা, অড়হর, বিউলি প্রভৃতি সব ডালেই থাকেই প্রোটিন।
ওট্স: স্বাস্থ্যসচেতন সব মানুষই ইদানীং ওট্স নামক খাবারটির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। আমিষ খাবার খান না এমন মানুষজনের ডায়েটে নিয়মিত ওট্স রাখা তাই অত্যন্ত জরুরী। ওট্স খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস পায়। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
দানাশস্য: ছোলা, রাজমা, মিলেট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। কিন্তু তা হজম করতেও বেশ সময় লাগে। তাই এই ধরনের খাবার ভাল ভাবে সেদ্ধ করে খেতে পারেন। মিলেট দিয়ে তৈরি খিচুড়িও খুব উপাদেয়।