অনেকেই ভাবেন, পরিমাণে কম খেলেই বুঝি রোগা হওয়া যায়, এমন ধারণা ভুল। ছবি: শাটারস্টক।
অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ একটানা বসে কাজ, অসময়ে খাওয়াদাওয়া, নিয়মিত বাইরের খাওয়ার অভ্যাস— বাড়তি ওজন হওয়ার পিছনে এই কারণগুলিই যথেষ্ট! বাড়তি ওজন দেখে ডায়েট শুরু করেছেন? বেশ কয়েকদিন হল, তবু মেদ কিছুতেই জব্দ হচ্ছে না? ডায়েট করার সময়ে ঠিক নিয়ম মেনে চলছেন কি? নাকি ডায়েটের মাঝেই খিদে পেলে মুখে দিচ্ছেন রকমারি স্ন্যাকস? অনেকেই ভাবেন, পরিমাণে কম খেলেই বুঝি রোগা হওয়া যায়। এমন ধারণা ভুল। ডায়েটের সময়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হয়। ডায়েট শুরুর দিকে খিদে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। খিদে পেলে কী ভাবে তা সামাল দেবেন, জানতে হবে সেই টোটকাই।
ডায়েটের সময়ে কী ভাবে খিদে কমাবেন?
১) খিদে পেলেই বেশি বেশি করে জল খেতে হবে। এতে খিদে অনেকটাই কমে। জল খেলে পেট ভরে যায়। যে কোনও ডায়েট করার সময়ে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। চাইলে ডিটক্স ওয়াটারও খেতে পারেন। ডায়েটের সময় অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়, বেশি করে জল খেলে সেই সমস্যাও দূর হবে।
২) ডায়েট করার সময়ে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। এই প্রকার খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদে কম পায়। ওটমিল, বার্লি, ফল ও শাক-সব্জিতে থাকে ফাইবার। খেতে পারেন মটর, সীম ও বিভিন্ন প্রকার ডালও।
৩) খাওয়ার সময়ে তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদেও কম পায়।
৪) ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে শরীরচর্চাও ভীষণ জরুরি। ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচর্চা করলেও বার বার খিদে পায় না। এ ক্ষেত্রে অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৫) মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ করম হলে কিন্তু আমরা অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন। না হলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy