পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। ছবি: সংগৃহীত
ডিম অনেকেরই পছন্দের খাবার। ডিম যেমন স্বাদের যত্ন নেয়। তেমনই সুস্থ রাখে শরীরও। রূপচর্চাতেও ডিমের ভূমিকা অপরিসীম। বাজারে দু’রকম রঙের ডিম পাওয়া যায়। সাদা আর বাদামি। অনেকেরই ধারণা বাদামি রঙের ডিম অধিক পুষ্টি সম্পন্ন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিম মাত্রেই পুষ্টির অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস। ডিমে রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, সেলেনিয়ামের মতো উপকারী কয়েকটি উপাদান। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। শুধু সাদা অংশ বা শুধু ডিমের কুসুমের পরিবর্তে তাঁরা গোটা ডিম খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
দীর্ঘ ক্ষণ শরীরচর্চার পরে দুর্বল পেশি সবল করতে ডিম খাওয়া জরুরি। এ ছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তোলে। রোজের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখলে ওজন কমানোর কাজও সহজ হয়ে যাবে।
ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে যে কোনও একটি ডিম বেছে নিতে পারেন নিশ্চিন্তে।
তবে বাদামি এবং সাদা রঙের ডিমের মধ্যে পুষ্টিগত দিক থেকে কোনও পার্থক্য নেই। বৈসাদৃশ্য রয়েছে শুধু খোলার রঙে। বাজারে বাদামি ডিমের চেয়ে সাদা ডিম বেশি দেখা যায়। এর কারণ বাদামি ডিম উৎপাদন বেশি খরচ সাপেক্ষ। কারণ যে মুর্গি বাদামি ডিম দেয়, তাদের আরও স্বাস্থ্যকর এবং অরগ্যানিক খাবার দেওয়া হয়।
স্বাদ সামান্য আলাদা হলেও গুণাবলীর দিক বাদামি আর সাদা রঙের ডিমে কোনও পার্থক্য নেই। তাই ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন নিশ্চিন্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy