পুজোয় বিস্তর ঘোরাঘুরি হয়েছে। গা, হাত-পায়ে ব্যথায় নাজেহাল অনেকে। ব্যথা কমাতে ওষুধ না খেয়ে বরং যোগব্যায়াম অভ্যাস করুন। ব্যথা যখন অল্পসল্প সমস্যা করছে, তখন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেন অনেকে। কিন্তু যখন ওষুধ আর কাজ করে না এবং ব্যথাও ক্রনিক হতে শুরু করে, তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া গতি থাকে না। পিঠ, কোমর বা ঘাড়ের ব্যথায় নাজেহাল দশা যাঁদের, তাঁদের জন্য ব্যথা নিরাময়ের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল মণ্ডূকাসন। নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে পিঠ-কোমরের যন্ত্রণা সেরে যাবে।
সংস্কৃতে ‘মণ্ডূক’ কথাটির অর্থ ব্যাঙ। অর্থাৎ, এই আসন করার সময়ে দেহের ভঙ্গি হবে ব্যাঙের মতো। মণ্ডূকাসন খুব সহজ নয়। তাই ধৈর্য ধরে, একাগ্রতার সঙ্গে ভঙ্গি অভ্যাস করতে হবে।
কী ভাবে করবেন মণ্ডুকাসন?
১) প্রথমে বজ্রাসনের ভঙ্গিতে বসুন। অর্থাৎ হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের উপর বসুন।
২) ধীরে ধীরে হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গি করুন।
৩) সামনের দিকে হাত দুটো ছড়িয়ে দিন। কিন্তু, হাতের তালু মাটিতে থাকবে না। থাকবে দুই বাহু।
৪) দু’টি পা ছড়িয়ে দিন দু’পাশে। এমন ভাবে ছড়াতে হবে, যেন দু’টি ঊরু এবং হাঁটু মাটি স্পর্শ করে থাকে। দেখতে অনেকটা ব্যাঙের মতো লাগবে। থুতনি, বুক, পেটও মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকবে।
৫) এই অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড থাকতে পারলে ভাল হয়। না হলে প্রথমে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ধীরে ধীরে সময় বৃদ্ধি করবেন।
আরও পড়ুন:
উপকারিতা
দেহের নিম্নাঙ্গের নমনীয়তা বৃদ্ধি করবে এই আসন। কোমর বা নিতম্বের অস্থিসন্ধির ব্যথায় আরাম দেয় মণ্ডূকাসন।
এই আসন অভ্যাস করলে পিঠ, কোমরের পেশির ব্যথা নিরাময় হয়।
হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি ইনসুলিন হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সহায়তা করে মণ্ডূকাসন।
কারা করবেন না?
পায়ে, হাঁটুতে কিংবা গোড়ালিতে চোট পেয়ে থাকলে এই আসন করবেন না।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা এই যোগাসন করবেন না।