ভুল ভঙ্গিতে শোয়া-বসা-কাজ করার জন্য শরীরের নানা অংশের সঙ্গে দুই হাতে ও কাঁধেও ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা ৮-৯ ঘণ্টা টানা ডেস্কে বসে কাজ করেন, তাঁদের অধিকাংশই ভোগেন হাত-পিঠ ও কোমরের ব্যথা। উঠতে বসতে পেশিতে টান তো ধরেই, অনেক সময়ে ঘাড় ও কাঁধের পেশি শক্ত হয়ে গিয়ে ফ্রোজ়েন শোল্ডারের উপসর্গও দেখা দেয়। এই রোগে কাঁধের বল ও সকেট সন্ধি আক্রান্ত হয় একটা সময়ের পর এমন জায়গায় চলে যায় যে, ব্যথার ওষুধ বা মলমেও কোনও কাজ হয় না। ফিজিয়োথেরাপির সাহায্য ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তবে যোগাসন প্রশিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যদি একটি যোগাসন অভ্যাস করা যায়, তা বলে ব্যথাবেদনা কমে যাবে সহজেই। এই যোগাসন কঠিন নয়, চেয়ারে বসেই করা যাবে। অফিসে কাজের ফাঁকেও করে নিতে পারেন।
যোগাসনের এই বিশেষ পদ্ধতির নাম ‘আর্ম সার্কলিং’। অর্থাৎ, সহজ করে বললে হাত ঘোরানো। দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে এই আসন অভ্যাস করা যায়। পদ্ধতিতে খুব একটা তফাত নেই। চেয়ারে বসে সহজে কী ভাবে আসনটি করা যাবে তার পদ্ধতি শিখে নিন।
কী ভাবে করবেন?
১) চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। পিঠ ঝোঁকালে চলবে না। শিরদাঁড়া টানটান রাখতে হবে। পায়ের পাতা মাটিতে থাকবে।
২) এ বারে দুই হাত কাঁধ বরাবর দু’দিকে সোজা করে ছড়িয়ে দিন। কনুই টানটান থাকবে।
আরও পড়ুন:
৩) ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। এতে মন স্থির হবে। তার পর দুই হাত দু’পাশে ছড়ানো অবস্থায় প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে একসঙ্গে ঘোরান। ৭ বার ঘোরাতে হবে।
৪) হাত দু’টি কোলের উপর রেখে ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন।
৫) এর পর একই ভঙ্গিতে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে হাত দু’টি ঘোরান। এ বারেও ৭ বার করতে হবে। এ ভাবে এক সেট সম্পূর্ণ হবে।
৬) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৩ সেট করে রোজ অভ্যাস করতে হবে।
উপকারিতা
কাঁধ ও ঘাড়ের পেশি সুগঠিত হবে।
কাঁধ, ঘাড় ও পিঠের ব্যথাবেদনা কমবে।
ফ্রোজ়েন শোল্ডারের সমস্যা থাকলে এই আসন করে উপকার পেতে পারে।
মেরুদণ্ড নমনীয় হবে, স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি কমবে।
কারা করবেন না?
হাত বা কাঁধে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করবেন না।
স্লিপ ডিস্কের সমস্যা থাকলে আসনটি করা যাবে না।