সারা বছর পড়াশোনা করে পরীক্ষার সময়ে পড়া ভুলে যান অনেকেই। এর কারণ শুধু দুর্বল স্মৃতিশক্তি নয়, মানসিক চাপও হতে পারে। অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে স্মৃতি মাঝেমাঝেই এমন বিশ্বাসঘাতকতা করে। বয়স বাড়লে এই সমস্যা সর্ব ক্ষণের সঙ্গী। তবে ইদানীং অবশ্য কমবয়সেও এমন সমস্যা বেশি হচ্ছে। তাই বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। সন্তানের যদি এই সমস্যা হয়, তা হলে রোজ অভ্যাস করাতে পারেন হলাসন। এই আসন নিয়মিত অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই আরও কিছু শারীরিক সমস্যারও সমাধান হবে।
কী ভাবে করবেন হলাসন?
১) প্রথমে চিত হয়ে টানটান করে শুয়ে পড়ুন।
২) পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া করে উপরে তুলে ধরে হাত দু’টি দিয়ে কোমর ধরে রাখুন।
৩) এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই পা কোমর থেকে ভাঁজ করে হাঁটু ভেঙে পায়ের আঙুল মাটি স্পর্শ করান।
৪) এই ভঙ্গিতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ সেকেন্ড থাকুন।
৫) স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময়ে পা দু’টি টান টান করে উপরের দিকে রাখুন। হাত কোমর থেকে সরিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন।
৬) কোমর থেকে হাত সরিয়ে নিতম্ব মাটিতে ছোঁয়ান। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা মাটিতে রাখুন।
আরও পড়ুন:
উপকারিতা
১) হলাসন অভ্যাসে থাইরয়েডের সমস্যা কমবে।
২) পেটের মেদ ঝরবে, পেট ও পিঠের পেশি টানটান হবে।
৩) মনঃসংযোগ বাড়বে, স্মৃতিশক্তি বাড়বে।
৪) এটি মেরুদণ্ড এবং ঘাড়ের নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৫) যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, তাঁরাও নিয়ম করে এই আসন অভ্যাস করতে পারেন।
কারা করবেন না?
আলসার বা হার্নিয়ার সমস্যা থাকলে এই আসন করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি অভ্যাস করা যাবে না।