দিনভর পরিস্রমের পরে গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা হয়ই। অনেক সময়ে দেখবেন, শোয়ার পরে পায়ে পেশিতে টান ধরে। অথবা ঘুম থেকে উঠে বিছানা থেকে মাটিতে নামার সময়ে আচমকা পিঠে বা কোমরে টান ধরে যায়। ব্যথা শুরু হয় পায়েও। এ ব্যথা এক বার ধরলে দীর্ঘ দিন থাকতে পারে। সেই ব্যথা ক্রমাগত বাড়তে থাকে সারা দিন চেয়ারে বসে থাকলে। তবে নিয়মিত যদি যোগাসন অভ্যাস করা যায়, তা হলে ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পারেন সহজেই।
ব্যথা কমানোর নানা রকম যোগাসন আছে। তার মধ্যে একটি হল কটি চক্রাসন। সংস্কৃতে ‘কটি’ শব্দের অর্থ হল কোমর এবং ‘চক্র’ অর্থাৎ বৃত্তাকারে আবর্তন। পিঠ-কোমরের নমনীয়তা বজায় রাখতে, পেশির জোর বাড়াতে এই আসন অভ্যাস করার পরামর্শ দেন প্রশিক্ষকেরা। কটি চক্রাসন করলে দেহের নিম্নাঙ্গের পেশি মজবুত হয় এবং হজমের সমস্যা থাকলে তা-ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কী ভাবে করবেন কটি চক্রাসন?
১) ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের মাঝে ব্যবধান থাকবে। দুই হাত দু’পাশে রাখুন।
২) এ বার দুই হাত কাঁধ বরাবর সোজা করে ছড়িয়ে দিন। হাতের তালু যেন মেঝের দিকে থাকে।
৩) শ্বাস ছেড়ে ডান হাত ভাঁজ করে বাঁ কাঁধে রাখুন ও কোমর বাঁ দিকে ঘোরান। এই অবস্থায় বাঁ হাত কোমরের পিছন দিক থেকে ডান দিকে ঘুরিয়ে রাখুন।
আরও পড়ুন:
৪) পা যেন মাটি থেকে কোনও ভাবে উঠে না যায়। এই অবস্থায় কিছু ক্ষণ থাকুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
৫) এর পর শুরুর অবস্থায় ফিরে আসুন।
৬) একই ভাবে ডান দিকে ঘুরে অভ্যেস করুন। খেয়াল করবেন, যেন একই সঙ্গে আপনার ঘাড়ও ঘোরে। গোড়ালি যেন মাটিতে ঠেকে থাকে।
উপকারিতা
১) হাত ও পায়ের পেশির জোর বাড়বে।
২) মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি হবে।
৩) পেট, পিঠের মেদ ঝরবে, ব্যথাবেদনাও সারবে।
৪) সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে, শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।
কারা করবেন না
আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা চললে আসনটি করার প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে হবে।
হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করবেন না।