রক্তচাপ বেশি হলে সব রকম আসন করা যায় না। তবে একটি আসন সকলেই অভ্যাস করতে পারেন। এই আসন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাবে, সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে, পাশাপাশি ওজনও কমাবে। শরীরের ভঙ্গিমা ঠিক করতেও এই আসন উপযোগী। যাঁরা কুঁজো হয়ে চলেন, তাঁদের শরীরের ভঙ্গি ঠিক করতে এই আসন কাজে আসতে পারে। আবার যাঁরা কাঁধ, পিঠের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা এই আসন অভ্যাস করলে উপকার পাবেন।
কী ভাবে করবেন পর্বতাসন?
১) বজ্রাসনে ম্যাটের উপর বসুন। দুই হাত কাঁধের সোজাসুজি সামনে রাখুন। কনুই ভাঁজ করবেন না।
২) শ্বাসপ্রশ্বাস ধীরে ধীরে নিন। এ বার হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গি করুন। এটি শুরুর অবস্থান।
৩) পায়ের পাতা ও হাতের তালুতে ভর দিয়ে কোমর থেকে নিতম্ব যতটা সম্ভব উপর দিকে তুলতে হবে। শরীরের ভার থাকবে হাতের তালু ও পায়ের পাতার উপর।
আরও পড়ুন:
৪) এ বার পিঠ , কোমর আরও উঁচু করে মাথা নীচু করুন। হাঁটু টানটান থাকবে।
৫) মাথা ঝুঁকিয়ে মাটিতে ঠেকাতে হবে। শরীরের ভঙ্গি হবে অনেকটা ইংরেজি ‘এ’ অক্ষরের মতো। এই অবস্থানে ২০ সেকেন্ড থেকে আবার শুরুর অবস্থানে ফিরে যান।
উপকারিতা
১) মেরুদণ্ড নমনীয় হবে, শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
২) ফ্রোজ়েন শোল্ডারের সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে।
৩) পিঠ-কোমর ও পায়ের ব্যথা নিরাময় হবে নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে।
৪) পেশির জোর বাড়বে, সায়াটিকার ব্যথা ভোগালে এই আসন অভ্যাস করতে পারেন।
৫) নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে মেদ কমবে, পেটের পেশি টানটান হবে।
৬) মনঃসংযোগ বাড়বে, উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা কমবে।
কারা করবেন না?
মাথা ঝুঁকিয়ে যেহেতু আসনটি করতে হয়, তাই ভার্টিগো বা মাথাঘোরার সমস্যা থাকলে করবেন না।
স্লিপ ডিস্ক হলে আসনটি নিজে থেকে অভ্যাস করতে যাবেন না।